ন্যাভিগেশন মেনু

করোনার সঙ্গে যুদ্ধের বর্ণনা দিলেন এভারেস্টজয়ী ওয়াসফিয়া নাজরিন


প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধের বর্ণনা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী ও সমাজকর্মী ওয়াসফিয়া নাজরিন। 

সোমবার ( ২৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের কথা জানান তিনি।

গত শনিবার সকালে ফেসবুকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে জানান এই পর্বতারোহী।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে বসবাস করা ওয়াসফিয়া আজকের পোস্টে জানান, স্থানীয়রা খাবার কিনে মজুদ করায় সেখানকার সুপারমার্কেটগুলোতে খাবার পাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তিনি  নিরামিষভোজী, কিন্তু বাজারে নিরামিষ জাতীয় খাবার না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে শর্করা (কার্বোহাইড্রেট) জাতীয় খেয়েছেন তিনি।

শর্করা জাতীয় খাবার খেলে শরীরে ভাইরাসের বিস্তার বাড়ে যা তিনি জানতেন না। ফলস্বরূপ তার ফুসফুসে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, ‘গত শনিবার আমি খুব কষ্ট করে শ্বাস নিচ্ছিলাম এবং সকাল বেলা (চিকিৎসকের হস্তক্ষেপের আগ পর্যন্ত) আমার মনে হচ্ছিল কেউ আমার মুখের মধ্য থেকে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে সমস্ত বাতাস / জীবনীশক্তি চুষে নিচ্ছে।’

তিনি আর লিখেন, তার শ্বাসকষ্ট কাটিয়ে উঠতে গতকাল সারাদিন লেগে যায়। ওষুধ, প্রোটিন সেবন এবং ডাক্তারদের বিস্ময়কর যত্নের পর তিনি একটু সুস্থ হন। তবে তিনি এখনো খুবই দুর্বল। তার পুরো মস্তিষ্ক, মাথা, ঘাড় এবং দেহের অন্যান্য জায়গায় ক্রমাগত ধড়ফড় করছে।

চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জিন নামে এক চীনা চিকিৎসকের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ওয়াসফিয়া। তিনি বলেন, ‘তার (ডা. জিন) অন্তর্দৃষ্টি এবং অলৌকিক ভেষজ  প্রয়োগ না করলে হয়তো আমি এখন জীবিত থাকতাম না।’

ওয়াসফিয়া আরও লিখেন, ‘এখন আমার প্রথম অগ্রাধিকার হলো শতভাগ অক্ষত ফুসফুস নিয়ে এ ভাইরাস জয় করা। এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা অনেকের ফুসফুসের প্রায় প্রায় ৪০-৬০% ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

যদি আগামী সপ্তাহের মধ্যে ফুসফুস থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ দূর হয়, তাহলে শতভাগ সুস্থ হতে হয়তো আর মাসখানেক লাগবে বলেও জানান বাংলাদেশি এই পর্বতারোহী।  

সবার উদ্দেশে ওয়াসফিয়া বলেন, ‘যারা সুরক্ষিত থাকার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারা খাদ্যতালিকা থেকে এমন জিনিস বাদ দিন যা এই ভাইরাসকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, প্রোটিন খান বেশি করে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সামাজিক-দূরত্বের বজায় রাখার সময়ে নিজেকে খুশি রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, পানি পান করুন, প্রার্থনা করুন, ধ্যান করুন।’

ওআ

সম্পর্কিত বিষয়: