যশোরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত মমিনুর রহমানকে (৬০) বেনাপোলে তার নিজ এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন জানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই ব্যক্তি মারা যান।
মমিনুরের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যশোর জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সরকারি হিসেবে ছয়জন মারা গেলেন।
মমিনুরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম জানান, মরদেহ বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে আনা হলেও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা কেউ কাছে যেতে পারেননি। পরে শুক্রবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় তাকে নিকটস্থ গোরস্থানে দাফন করা হয়।
তিনি জানান, মমিনুর রহমানের হার্ট ব্লক হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তার চিকিৎসক মধুসূদন পাল। পরে তার ফুসফুসে পানি জমায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এই অবস্থায় চারদিন আগে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। এরই মধ্যে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয় করোনা পরীক্ষার জন্য। তার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবার-সদস্যদের জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জেনোম সেন্টার থেকে আসা ফলাফলে দেখা যায়, যশোর জেলার যে নমুনাগুলো পজিটিভ এসেছে, তার মধ্যে মমিনুর রহমানের নাম রয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পজিটিভ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরই মমিনুরকে করোনা চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত গ্রিন ড্রিম লিমিটেডে (জিডিএল হাসপাতাল) স্থানান্তর করেন। সেখানে কিছু সময় পর বিকেল তিনটার দিকে মারা যান মমিনুর।
এর আগে, মরদেহ বাড়িতে আনার পর শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী প্রমুখ তাদের বাড়িতে এসে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। তারা মরদেহের কাছে যেতে স্বজনদের নিষেধ করেন। জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় দাফন করা হবে মমিনুরকে। শার্শার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যশোরের স্বাস্থ্য প্রশাসন এর আগেই বেনাপোল পৌরসভার এই ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত দেয়।
বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন জানান, ওই ওয়ার্ডে কয়েকজন করোনা রোগীর বাড়ি।
এডিবি/