ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা আবহে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে নজির কলকাতার হাসপাতালে


করোনা আবহে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে এবার নজির গড়ল কলকাতার হাসপাতাল। বর্তমানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তিলোত্তমার তিনটি হাসপাতালে চলছে প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া। গ্রহীতাদের সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোটাই এখন চ্যালেঞ্জ ডাক্তারদের কাছে।

সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া বাসিন্দা সংগ্রাম ভট্টাচার্য নামে এক যুবক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভরতি করা হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে । কিন্তু অবস্থার কোনও উন্নতিই হয়নি তাঁর। রবিবার স্বাস্থ্যভবনের ব্রেন ডেথ কমিটি পরীক্ষা করে জানান যে, ওই যুবকের ব্রেন ডেথ হয়েছে। এরপরই সংগ্রামের অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। করোনার কারণে বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকলেও সেসবকে উপেক্ষা করে গ্রহীতার খোঁজ শুরু করে হাসপাতাল। রাতেই লিভার প্রয়োজন, এমন এক আগরতলার বাসিন্দাকে বিমানে নিয়ে আসা হয় কলকাতায় । সংগ্রামের একটি কিডনি দেওয়া হচ্ছে হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা এক যুবককে।

আরেকটি পাঠানো হচ্ছে এসএসকেএমে । হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত যুবকের চোখ ও হৃদযন্ত্র দেওয়া হয়েছে আরএনটেগোর হাসপাতালের (R.N Tegore) এক রোগীকে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অ্যাপোলো ও আরএনটেগোরে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, এসএসকেএমের স্কিন ব্যাংকে রাখা হচ্ছে ওই যুবকের ত্বক।

তবে গোটা বিষয়টাই সম্ভব হয়েছে সংগ্রামের পরিবারের মনোবলের কারণে, এমনটাই বললেন অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের কথায়, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন একটা যুদ্ধ। অনেক ঝুঁকি রয়েছে এতে। সংগ্রামের পরিবার সাহস না জোগালে এটা কখনই সম্ভব ছিল না।

পাশাপাশি, একটি অঙ্গ নিয়ামক সংস্থাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। কারণ, তাঁদের মাধ্যমেই এত অল্প সময়ের মধ্যে গ্রহীতাদের হদিশ মিলেছে।

এস এস