ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা থেকে বাঁচতে সাপের মাংস ভক্ষণ!


সাপের মাংস নাকি করোনার  অব্যর্থ দাওয়াই! এমনই ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে নিয়মিত সাপ খাওয়া শুরু করেছিলেন  ভারতের তামিলনাডু রাজ্যের  তিরুনেলভেলি জেলার পেরুমলপত্তি গ্রামের বাসিন্দা ভাদিভেল। অবশেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওয় ভাদিভেলিকে ওই অপকর্ম করতে দেখা গিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ভিডিও দেখে শিউরে উঠেছিলেন নেটিজেনরা। এরপরই পরিবেশবিদরা খবর দেন পুলিশকে। শেষ পর্যন্ত ভাদিভেলিকে শনাক্ত করে ফেলে পুলিশ।

তারপরই তাঁর ঠাঁই হয় শ্রীঘরে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এও জানা গিয়েছে, সাপটি খাওয়ার সময় অভিযুক্ত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। কয়েকজন স্থানীয় তাঁকে উৎসাহও দেন বলে শোনা যাচ্ছে। কারা ওই ব্যক্তিকে উসকানি দিয়েছে তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

ভিডিওয় ভাদিভেল জানিয়েছেন, তিনি একটি ক্ষেতের মধ্যে সাপটিকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। এরপরই তাঁকে দেখা যায় সাপটির শরীরে কামড় বসাতে। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সাপ বা অন্যান্য সরীসৃপের মাংস নাকি ‘মহৌষধ’, এমনই উদ্ভট দাবি তাঁর। 

কেবল এই সাপটিই নয়, দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজে পেতে সাপ ধরে খাওয়ার অভ্যাস তাঁর রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। করোনার দাপট শুরু হওয়ার পর থেকেই এই অভ্যাস তিনি শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন ভাদিভেল। তবে সাপটিকে মেরে তবেই তিনি সেটি খান বলে দাবি তাঁর। ভাদিভেলের এমন সব দাবি শুনে শিউরে উঠেছেন বন্য প্রাণ বিশেষজ্ঞরা। 

তাঁদের মতে, এই ধরনের অভ্যাস অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাঁদের মতে, বন্যপ্রাণীকে হত্যা করা অপরাধ তো বটেই। সেই সঙ্গে সেগুলিকে কাঁচা অবস্থায় এভাবে খেতে যাওয়াও বিরাট ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা এর ফলে জীবজন্তুর শরীরে লেগে থাকা জীবাণু থেকে সংক্রমণ হতে পারে।  যা থেকে ভয়াবহ অসুখ হতে পারে।

এস এস