ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা দূর্যোকালীন সময়ে বাড়ি ভাড়া কমানোর আহ্বান


করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে বাড়ি ভাড়া কমানো এবং হোল্ডিং ট্যাক্স ও ইউটিলিটি বিল মওকুফের আহ্বান জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন নাগরিক বিকাশ ও কল্যাণ (নাবিক)।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংগঠনের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান এই তথ্য জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় সরকারি ছুটি এবং লকডাউন চলায় বিপুল সংখ্যক মানুষ জীবন জীবিকার তাগিদে দৈনন্দিন কাজে যোগ দিতে পারছেন না। রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। 

এদিকে অনেক মানুষ প্রায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। একদিকে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক, অন্যদিকে অর্থের অভাব। এতে সাধারণ মানুষ অনেকটাই বিপাকে। এই পরিস্থিতিতে সর্বসাধারণের পক্ষে বাসা ভাড়া দিয়ে নগর জীবনে টিকে থাকা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্যদিকে অনেক বাড়ির মালিকের পরিবার শুধু বাড়ি ভাড়ার ওপরেই নির্ভরশীল। অনেকেই ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করায় ভাড়ার টাকা দিয়ে ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধ করেন। এই অর্থনৈতিক সংকটে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া উভয়পক্ষের সুবিধার কথা চিন্তা করে করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে বাসা ভাড়া কমিয়ে পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব করছে নাগরিক সংগঠন নাগরিক বিকাশ ও কল্যাণ (নাবিক)।

নাবিকের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলো হলো:

১) সরকার ঘোষিত করোনার দুর্যোগকালীন সময় পর্যন্ত বাড়ির মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা।

২) যেসব বাড়ির মালিকরা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ব্যাংক ঋণ আছে, তাদের ব্যাংক ঋণের কিস্তি অন্তত তিন থেকে ছয় মাসের জন্য সুদ মুক্ত অবস্থায় স্থগিত করে সরকারের পক্ষ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা।

৩) সরকার ঘোষিত করোনার প্রাদূর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দুর্যোগকালীন সময় পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো থেকে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করা।

৪) করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাড়ি ভাড়া অর্ধেক কমিয়ে আনা। ক্ষেত্রবিশেষে এই দুর্যোগকালীন সময়ে মানবিক কারণে বাড়ির মালিক তার ভাড়াটিয়াকে প্রয়োজনীয় সময় প্রদান করতে পারে। কোনও ভাড়াটিয়া স্বেচ্ছায় সম্পূর্ণ ভাড়াও পরিশোধ করতে পারবেন।

একটি নাগরিক সংগঠন হিসেবে নাবিক বিশ্বাস করে, প্রথম তিনটি প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বাসা ভাড়া অর্ধেক করে দিলেও বাড়ির মালিকরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। উপরন্তু এই বিশেষ সাময়িক ব্যবস্থাপনায় দেশের বিশাল অংশের জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক জীবন অনেকাংশেই সুরক্ষিত হবে। নাবিক উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার কাছে জোর দাবি জানিয়েছে।

ওয়াই এ/এডিবি