ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


মানুষজনের চলাচল শুরু হয়ে গেছে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই। আর করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

করোনা মোকাবেলা ও মৃত্যুহার কমানোর জন্য অনেক কষ্ট করেছে সরকার। দুর্লভ ভ্যাকসিন যোগাড় করতেও অনেক কষ্ট হয়েছে, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে করোনায় আমরা কতোটা ভালো করেছি। করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই আমাদের খাদ্যের অভাব হয়নি।

আমাদের ৮০০টি করোনা পরীক্ষার ল্যাব বসাতে হয়েছে। ১৫০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। কোথাও অক্সিজেনের অভাব হয়নি। যার ফলে করোনায় আমাদের মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম ছিল বলে উল্লেখ করেন জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো চলছে। করোনার সময়েও আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের বেশি রয়েছে। এখন আমরা করোনা ভাইরাসের টিকা দিচ্ছি। টিকা প্রদানে বাংলাদেশ ভালো করেছে। আমরা টিকা তৈরি করি না। যে সমস্ত দেশ টিকা উৎপাদন করে, তারা হয়তো আমাদের চেয়ে বেশি টিকা দিয়েছে। আমরা টিকা উৎপাদন না করলেও জোগাড় করেছি। আগামীতে আমরা আশা করছি আরও বেশি টিকা দিতে পারবো। 

যক্ষ্মা রোগ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগে এখন মৃত্যুর হার অনেক কম। নিয়মিত ওষুধ খেলে যক্ষ্মা রোগ ভালো হয়। সুতরাং যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই এ কথা এখন আর প্রযোজ্য নয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সঠিক সময়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হার অনেক বেড়ে গেছে। ২০০৪ সালেও বছরে যেখানে ৭০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যেতো। বর্তমানে সেটি ৪৮ শতাংশ কমে ২৮ হাজারে নেমে এসেছে। এখন ৯৫ শতাংশের বেশি রোগী সুস্থ হচ্ছেন। আমাদের আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে। আক্রান্তের হার শূন্যে আনতে হবে। আর এ কাজে সহায়তা করবে শ্যামলীর এই হাসপাতালের ওয়ান স্টপ কেন্দ্র ও ল্যাবরেটরি।

সরকারের সফলতায় টিবি আক্রান্তদের মৃত্যুহার ৪৭ শতাংশ কমেছে বলে জানান মন্ত্রী।

বিমানবন্দরে আরটি পিসিআর ল্যাব বসানো প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এয়ারপোর্টে ঘুরে আসলাম। এখনও কেউ ল্যাব বসায়নি, জায়গাই দিতে পারে না। আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে নিয়ে গিয়েছি। আমাদের জায়গা ভেতরে গিয়ে দেখিয়ে আসতে হলো। জায়গা না দিলে ল্যাব হবে কীভাবে। খোলা মাঠে কি কখনও ল্যাব তৈরি করা যায়? খোলা মাঠে ল্যাব করা যাবে না। এয়ারপোর্টের ভেতরে আমাদের জায়গা দিতে হবে যেখানে ল্যাব করা যাবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম, আইসিডিডিআর,বি'র নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, ইউএসএইডের বাংলাদেশের ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর র‍্যান্ডি আলী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সিচিব লোকমান হোসেন মিয়া, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার ও যক্ষ্মা হাসপাতালের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. আবু রায়হান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম। 

সিবি/এডিবি/