ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা নিয়ন্ত্রণে বলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে, যা এখন সারা বিশ্বে প্রসংশিত। দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আছে বলেই স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নব নিয়োগকৃত জুনিয়র কনসালটেন্টদের (অ্যানেস্থেসিওলজী) অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এসময় তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো আছে। ৬ শতাংশ গ্রোথ রেট আছে। খাদ্যের অভাব হচ্ছে না। বিদেশে লোক যাওয়া-আসা করছে। ব্যাপক বা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আমরা পাচ্ছি। সংক্রমণের হার কমছে। ফলে স্কুল-কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে।’ দেশে অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট সংকট রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘অ্যানেস্থেশিওলজির নতুন নিয়োগটি দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আরো অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট প্রয়োজন রয়েছে। আগামীতেও অ্যানেস্থেশিওলজিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাহলে এই সংকট আর থাকবে না। পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হবে।’

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যানেস্থেশিওলজিস্টদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের যাকে যেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেখানে গুরুত্বসহকারে দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশের সব জেলা সমান গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো সমস্যা থাকে আমরা আছি। আপনাদের সব ধরনের সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি, যেটা ভারতে ঘটেছে। সেখানে গাড়িতে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা করোনা ভ্যাকসিনেশনেও ভালো করছি। এ বছরে আরো অনেক ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন। এ মাসে দেড় কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। আমাদের সমালোচনা থাকবে। সমালোচনাকে তোয়াক্কা করিনি। সমালোচনার ফলে আমাদের গতি অনেক বেড়েছে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরফুউদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব এম এ আজিজসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

ওআ/