করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিলেট বিভাগের ওসমানী হাসপাতাল কিংবা শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতাল যেখানেই হোক অন্তত ২০টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বেড সংবলিত একটি সুরক্ষিত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ই-মেইলের মাধ্যমে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইউম।
ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইউম জানান, ‘সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মঈন উদ্দিনের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। আরও এমন অনেক ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধারা রয়েছেন ঝুঁকিতে।’
নোটিশে বলা হয়, ‘বৈশ্বিক মহামারি আকার ধারণ করা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহত্তর সিলেটে প্রায় ২ (দুই) কোটি মানুষের বসবাস। এ বিশাল অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে।’
কিন্তু ইতোমধ্যেই গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রে থেকে জানা যায়, ‘শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতাল করোনা রোগীর সব স্তরের চিকিৎসা দেয়ার জন্য সক্ষম নয়। এমনকি সিলেটের প্রায় দুই কোটি মানুষের কেউ একজন করোনায় আক্রান্ত হলে শামসুদ্দিন হাসপাতালে একটি জীবন রক্ষাকারী ভেন্টিলেটরও এই মুহূর্তে চালু নেই বা পরিচালনায় দক্ষ লোকবল নেই।’
নোটিশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ‘সরেজমিনে শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড, আইসিইউ ইউনিট পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিলেটবাসীর জন্য করোনা মোকাবেলায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি (ভেনটিলেটর) নিগেটিভ প্রেশার, এবিজি, কার্ডিয়াক মনিটর, প্রভৃতি), সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই, জেনারেটর, প্রভৃতি নিশ্চিত করুন।’
নোটিশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে উদ্দেশ্যে করে আরও বলা হয়, ‘সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম (রোস্টার ওয়াইজ কনসালট্যান্ট, এমও, নার্স, আয়া, ক্লিনার), আইসিইউ টিম (সার্বক্ষণিক দক্ষ এনেস্থেথিওলজিস্ট, নার্স, আয়া, ক্লিনার) এর সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিত করুন।’
ওয়াই এ/ এডিবি
