ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা প্রতিষেধক হিসেবে ‘ক্লোরোকুইন’ প্রয়োগের অনুমোদন


প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২ হাজার ৭৯২ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৮৪১ জন। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও ইতালিতে।

জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ডোমিটার জানায়, এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ লাখ ৩২ হাজার। মোট মারা গেছেন ২৪ হাজার ৬৮ জন। তাছাড়া, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৪০৫ জন।

এ অবস্থায় শুধু ফ্রান্সে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি দমনে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক রোগীর শরীরে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সারা বিশ্বের গবেষক ও চিকিৎসকরা যে সময় করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তখন ‘ক্লোরোকুইন’ (Chloroquin) নামে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক রোগীর শরীরে প্রদান করে সফল হয়েছেন দক্ষিণ ফ্রান্সের মার্সেই শহরের একদল গবেষক। গত একমাস ধরে ২৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে ক্লোরোকুইন প্রয়োগ করেন তারা।

ওই গবেষক দলের প্রধান ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর দিদিয়ার রাউল্ত ২৪ রোগীর শরীরে ক্লোরোকুইন প্রয়োগে সফলতার দাবি করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘প্রায় ৭০ বছর যাবৎ এই ওষুধ ম্যালেরিয়া নির্মূলের কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। এটা কোনো নতুন আবিষ্কার নয়।’

দিদিয়ার রাউল্ত বলেন, ‘আমরা ২৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে ক্লোরোকুইন প্রয়োগ করে আশ্চর্যজনক ফল পাই। এছাড়া আমিয়া শহরের ৪৮ বছর বয়সী এক রোগীকে ক্লোরোকুইনের সমন্বয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। ঠিক ৪৮ ঘণ্টা পর তার শারীরিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়।’

ফ্রান্সের স্বাস্থ্য বিষয়ক উচ্চ কমিশন হন্ট কনসিল দে সান্তা পাবলিকো (এইএসসিপি) বলেছে, করোনা রোগীর অবস্থা অশঙ্কাজনক হলে এই চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে।

ওআ/এডিবি

একই ধরণের সংবাদ পেতে এখানে ক্লিক করুন