ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা মোকাবেলায় ভেষজ চা


করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা খুব জরুরি। আর এ ক্রান্তিলগ্নে ভেষজ চা হতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার সঠিক উপাদান।

অনেকেরই জানা- রোগ প্রতিরোধক এসব চা সম্পর্কে-গ্রিন টি : গ্রিন টি ক্যাফেইনের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা শক্তি সরবরাহ করতে পারে।

গ্রিন টি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর। এতে থাকা পটাসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

এগুলো ছাড়াও, গ্রিন টিতে রয়েছে ক্যাটচিনস, পলিস্যাকারাইডস, ফ্যাটি অ্যাসিড, এসেনশিয়াল অয়েল, ফ্ল্যাভানলস, ক্লোরোফিল এবং আরও অনেক ভেষজ উপাদান।

এসব উপাদানের কারণে গ্রিন টি বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-এনজাইমেটিকে ভরপুর।

অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং অটোইমিউন প্রতিরোধ করে গ্রিন টি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পারে।

গ্রিন টি প্রস্তুত প্রণালী:

দুই কাপ পানি অন্তত ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত পানিতে একটি টি ব্যাগ বা এক চা চামচ গ্রিন টি দিন।

এটি পানিতে ৩-৫ মিনিটের জন্য রাখুন। এরপর টি ব্যাগটি সরিয়ে ফেলুন। বাড়তি স্বাদের জন্য আপনি গ্রিন টি’তে ১ চামচ লেবুর রস বা ১ চামচ মধু যোগ করতে পারেন।

হলুদ চা : হলুদ আমাদের রান্নায় একটি অতি প্রয়োজনীয় মসলা। মসলা ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চা আকারে হলুদ খাওয়া যেতে পারে। হলুদে প্রচুর পরিমাণে কার্কিউমিন রয়েছে, যা একটি প্রদাহ বিরোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে।

কার্কিউমিন আপনার শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বিভিন্ন ভাইরাস বিশেষত ফ্লু থেকে প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।

একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট হিসেবে হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আপনার স্নায়ুকে প্রশান্ত করতে পারে। এটি শরীরের কোষকে ভেতর থেকে নিরাময় করতে পারে।

হলুদে রক্তের শর্করার মাত্রা হ্রাস করার মতো আরও অনেক সুবিধা রয়েছে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, হলুদ শরীরের ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল হ্রাস করতে পারে, যা হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা দিতে পারে।

এস এস