করোনায় জেরবার ভারত। তাই করোনা রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বেশ কিছুক্ষেত্রে।
তার আগেই বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থাবা বসিয়েছে রাজ্যের প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার মানুষের শরীরে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ১০ লক্ষের গণ্ডি।
আগের দিনের তুলনায় বেশ খানিকটা বেড়েছে মৃত্যু। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ১৩৪ জন। যা আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে এসবের মাঝেও আশার আলো দেখাচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হার। একদিনে করোনাকে হারিয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৮,৬৭৫ জন।
স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্যের ১৯,৪৪৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৩,৯৭১ জনই উত্তর ২৪ পরগনার । অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে ফের যশোর ও সাতক্ষীরা সীমান্ত সংলগান প্রথম স্থানে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা।
এ জেলার পরেই দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। সেখানেও তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এদিন। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৯৪৮ জন। তৃতীয় স্থানে উঠে এল হাওড়া। একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ১,১৪৭ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
সেখানেও একদিনে সংক্রমিত এক হাজারের বেশি। নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা ১,০৭৩ জন। উল্লেখযোগ্যভাবে সংক্রমণ বেড়েছে নদিয়ায়। একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ১,০১৬ জন।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের করোনা গ্রাফও রীতিমতো ভয় ধরিয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের। এদিন সব জেলা থেকেই মিলেছে নতুন সংক্রমিতের হদিশ। ফলে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০, ১২, ৬০৪।
একদিনে করোনা প্রাণ কেড়েছে রাজ্যের ১৩৪ জনের। তাঁদের মধ্যে ৪২ জনই উত্তর ২৪ পরগনার। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে প্রথম স্থানে ওই জেলা। এই পরিসংখ্যানে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা বেড়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের।
দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। সেখানে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২, ৪৬১। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ১৮, ৬৭৫ জন।
তাঁদের মধ্যে ৩,৮৮১ জন কলকাতার। সুস্থতার হার ৮৬. ২৬ শতাংশ। সুস্থতায় সামান্য হলেও কমেছে উদ্বেগ। উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্যে এসেছে ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন। তার মধ্যে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার পাঠিয়েছে কেন্দ্র। বাকিটা কিনেছে রাজ্য সরকার।
এস এস