ন্যাভিগেশন মেনু

পাবনা জেলায় করোনা সংক্রমণে শীর্ষে ঈশ্বরদী, চারদিনে আক্রান্ত ৪৩৪


পাবনা জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে ঈশ্বরদীতে করোনা সংক্রমণ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আক্রান্ত ও শনাক্ত হারের দিক দিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা শীর্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবনা সিভিল সার্জন। 

পাবনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, ১ হাজার ৩৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করার পর শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেলে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাবনা জেলার ৯ উপজেলা মিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে আরও ২৪৪ জন। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত। 

এর আগে বুধবার ১১৪ ও বৃহস্পতিবার ১৯২ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা যায়। 

এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ৯৩৭ জনে। আক্রান্ত ও শনাক্তের দিক দিয়ে ঈশ্বরদী রয়েছে শীর্ষে। গত তিনদিনে ঈশ্বরদীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৪ জন। মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকেল থেকে বুধবার (৩০ জুন) বিকেল পর্যন্ত ১১৪ জন, বুধবার (৩০ জুন) বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত ১৩৬ জন এবং বৃহস্পতিবার (১ জুলাই)  বিকেল থেকে শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৪ জন। 

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এফ এ আসমা খান জানান, আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ঈশ্বরদীর বাইরে থেকে আসা মানুষ। এরা এখানকার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, ঈশ্বরদী ইপিজেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার কারণে তাদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে তার ধারণা। 

তিনি বলেন, ঈশ্বরদী হাসপাতালে এ পর্যন্ত তিনজন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। বাকী আক্রান্ত রোগীরা নিজ নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পাবনার সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী বলেন, আশপাশের জেলা রাজশাহী, নাটোর, কুষ্টিয়ায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পাবনায় সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণরোধে পাবনাতেও কঠোর লকডাউন চলছে। পুলিশ প্রশাসন জোড়ালোভাবে কাজ করছে। আশা করছি শনাক্তের হার কমে আসবে।

পাবনায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৯ মে। জেলার চাটমোহর উপজেলার নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা এক শ্রমিকের শরীরে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়।

এদিকে করোনা সংক্রমণ বিস্তাররোধে দেশজুড়ে সাতদিনের কঠোর লকডাউনের আজ রবিবার তৃতীয়দিন। পুলিশ প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে ঈশ্বরদীর লকডাউনের আওতার মধ্যে থাকা প্রায় সবধরণের সরকারি বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঈশ্বরদীর বিভিন্ন সড়কে কঠোর অবস্থানে থেকে কাজ করছেন। একমাত্র রিকশা, খাদ্য পরিবহণ যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন সড়কে চলতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি পায়ে হেটে যারা চলাচল করতে যাচ্ছেন তাদেরও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেখানেই কাউকে দেখা যাচ্ছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

জেএইচ/এসএ/এডিবি/