ন্যাভিগেশন মেনু

সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ


সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় আরও একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। 

রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করলেন আদালত।

আদালতে নতুন সাক্ষ্য দিয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন। এছাড়া পুনরায় সাক্ষী দিয়েছেন কলারোয়ার আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম লাল্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী।

এদিকে আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথীকে কাঠগড়ায় আহ্বান করেও তাকে জেরা করেননি আসামীপক্ষ।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ।

আসামীপক্ষে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার মাহাবুবউদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট শাহানারা আক্তার বকুল, অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ২, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী, ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান পিন্টু।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে আসেন। হাসপাতাল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

এরপর ২০১৫ সালের ১৭মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম।

সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামীপক্ষের আপীল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চতর আদালত। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চতর আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

এম আর এফ/ এস এ /এডিবি