ন্যাভিগেশন মেনু

কর্মস্থলে করোনা থেকে মুক্ত থাকবেন যেভাবে


প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে সারাবিশ্ব এখন চরম উদ্বিগ্ন। বিশ্বকে মহাবিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে এই করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের ১৭২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি।

ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৭ মানুষ। মারা গেছেন ৮ হাজার ৭৯১ জনের। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে ভুগছে বিশ্ববাসী।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে কর্মস্থলে কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, কর্মীদেরই–বা করণীয় কী, সে সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

কর্মস্থল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে তারা।

যার মধ্যে আছে ডেস্ক, টেবিল, টেলিফোন, কিবোর্ড ইত্যাদি। কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসব সামগ্রীর মধ্য দিয়েও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

জরুরি মুহূর্তে কর্মদিবস কমিয়ে আনতে হবে। খুব জরুরি না হলে অফিসে বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়েও ভাবতে বলেছেন তারা।

কারণ এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী কোনো ব্যক্তি নিজের অজান্তেই করোনাভাইরাস বয়ে আনতে পারেন।

মুখোমুখি বৈঠক এড়িয়ে টেলিফোন কনফারেন্স বা অনলাইনে তা করা যায় কি না, সেটি বিবেচনা করতে হবে।

বৈঠকে উপস্থিত কেউ শুষ্ক কাশি, জ্বর, অসুস্থতা বোধ করলে তার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বৈঠকসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবার নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা অন্তত এক মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।

যাতে বৈঠক বা অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর কেউ আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা অন্যদেরও শনাক্ত করতে সুবিধা হবে।

সংক্রমিত এলাকা দিয়ে চলাচলে সতর্ক থাকতে হবে। কর্মীদের এসব এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে।

ভ্রমণের সময় সঙ্গে জীবাণুনাশক রাখতে হবে। হাঁচি-কাশি দেওয়া ব্যক্তিদের থেকে অন্তত এক মিটার দূরত্ব থাকতে হবে।

আক্রান্ত এলাকা থেকে আসার পর কর্মীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা দরকার।

অফিসে কোনো কর্মীর মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি থাকলে বাধ্যতামূলক তাকে ছুটিতে পাঠানো উচিত।

ওআ/এডিবি

একই ধরণের সংবাদ পেতে এখানে ক্লিক করুন