ন্যাভিগেশন মেনু

জো বাইডেনের কর্ম-পরিকল্পনা ঘোষণা


যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেন দায়িত্ব নেবার পর সর্বপ্রথম যে পদক্ষেপগুলো নেবেন ইতোমধ্যেই তিনি তার পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক সংবাদ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে।

তার নির্বাচনী শিবির থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস সনাক্তের পরীক্ষা আরও বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হবে এবং মার্কিন নাগরিকদের মাস্ক পরতে বলা হবে।

সেই সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া নীতিমালাগুলোকে যতো দ্রুত সম্ভব সংস্কার করবেন তিনি। 

মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া বেশকিছু বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ, যার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন দরকার হয় না, সেগুলোকে আগের অবস্থানে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন জো বাইডেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাতে আবারও যোগ দেবে দেশটি।

তাছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে সরে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই সিদ্ধান্ত বদলে দেবেন জো বাইডেন।

অন্যদিকে, যে সাতটি দেশের নাগরিকদের উপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়কার কিছু নীতি তিনি পুনর্বহাল করবেন। বিশেষ করে শিশু বয়সে যারা কোন বৈধ কাগজ ছাড়া অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি।

এর আগে জো বাইডেন তার বিজয়ী ভাষণেও আসছে দিনগুলোতে তার নীতিমালা সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দিয়েছেন। তার একটি হচ্ছে, 'আমাদের প্রতিপক্ষকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা বন্ধ করতে হবে।'

ভাষণে জো বাইডেন ঐক্য, সহনশীলতা, সহযোগিতার সমাজ গড়ে তোলার আহবান জানান।

মহামারি মোকাবেলায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন জো বাইডেন।

তার বিজয়ী ভাষণেই একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন, যারা করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় নেতৃত্ব দেবেন।

জো বাইডেন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে চান। সকল মার্কিন নাগরিকদের জন্য নিয়মিত বিনামূল্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং সকলের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক নির্ভরযোগ্য তথ্য ভিত্তিক নির্দেশিকা প্রচলন করতে চান।

করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নানা পদক্ষেপ পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

তাছাড়া, বর্ণবৈষম্য মোকাবেলায় বর্ণভিত্তিক বৈষম্য উচ্ছেদকে তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভিত হিসেবে তৈরি করতে চান।

তিনি সরকারি তহবিল ব্যবহার করে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে বাসস্থান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চান।

কৃষ্ণাঙ্গ, ল্যাটিনো ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পদের বৈষম্য দুর করতে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক যাতে আরও জোরালোভাবে কাজ করে সেটি নিশ্চিত করতে চান।

পুলিশ বাহিনীর জন্যেও কিছু পরিবর্তন পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশেষ করে কোন অপরাধীকে আটক করার সময় কিছু শক্তি প্রদর্শনের পন্থা।

পুলিশ প্রশাসনে সংস্কারের জন্য একটি কমিশন করার কথাও ভাবছেন তিনি। সুত্র: বিবিসি বাংলা

এডিবি/