ন্যাভিগেশন মেনু

কলকাতা থেকে দেশে ফিরতে কি নিয়ে আসেন জয়া!


কলকাতার পাতিলেবু খুব প্রিয়  বাংলাদেশ ও কলকাতার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জয়া আহসানের। তাই তিনি কলকাতা থেকে দেশে ফেরার সময় সঙ্গে করে নিয়ে আসেন পাতিলেবু।  

জয়া বলেন, কলকাতার পাতিলেবু ছাড়া আমি একদম চলতেই পারি না। আমার লাগেজ খুললেই পাতিলেবু পাবেন। আমার গার্ডেনিং করতে খুব ভাল লাগে।  বিভিন্ন গাছের কালেকশনও আমার কাছে আছে।

তাছাড়া আমার একজন রিট্রোভার বোন আছে, তার জন্য খেলনা নিয়ে যেতে হয়। তার সঙ্গে সময় কাটাই। ওই মুহূর্তটা আমার খুব কাছের।

তিনি আরও বলেন, আমি বাংলাদেশের মেয়ে কিন্তু কলকাতা বরাবরই আমার কাছের। কারণ, যুদ্ধের সময় কলকাতায় এসে আমার বাবা ট্রেনিং নিয়েছিলেন। আজ উনি থাকলে খুব খুশি হতেন যে আমি কলকাতায় কাজ করতে পারছি।

এখন পর্যন্ত প্রচুর চরিত্রে কাজ করেছি। যা গুনে বলা মুশকিল। তবে আমি একটা পুরুষের চরিত্র করতে চাই।

তিনি বলেন, কাজের  ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম নিজের ভাল লাগার কথা ভাবি। তারপর দুই বাংলার দর্শকের কথাই ভাবি। কারণ, সকলের ভালবাসায় আজ আমি এই জায়গায়।

আসলে আমি কখনও মনেই করি না কলকাতা বা ভারত আলাদা একটা দেশ। বরং আমার মনে হয় জোর করে দুই ভাইকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।

সদ্য মুক্তি পেয়েছে শিবপ্রসাদ-নন্দিতা রায় পরিচালিত ছবি ‘কণ্ঠ’। সেই ছবিতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসানকে। শিল্প যে দুই বাংলাকে এক সুতোয় গাঁথে একথা জোরালোভাবে দাবি করা যায় এই অভিনেত্রীর দাপুটে অভিনয় দেখে।   

জয়া বলেন, আমি প্রথমে মডেলিং করতাম, সেই সুবাদেই অরিন্দমদা আমার কাজ দেখে প্রথম ছবি করার প্রস্তাব দেন। এইভাবেই যাত্রা শুরু হয়। আজও আমি ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ।

ইন্ডাস্ট্রিতে বিতর্ক প্রসঙ্গে জয়া বলেন, খুব কষ্ট পাই এটা ভেবে যে দর্শকরা খুব বিশ্বাস করেন এই ধরনের গুজব। আমার একটাই অনুরোধ, দয়া করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করবেন না। সবারই ব্যক্তিগত কিছু স্পেস আছে। সেটা নিয়ে এই ভাবে ট্রোল্ড করা অনর্থক।   

এস   /এসএস