ন্যাভিগেশন মেনু

কলাপাড়ায় মাদরাসায় ফান্ডের অভাবে কাটা হলো সৌন্দর্যবর্ধন গাছ


সরকার সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপনে জোড় দিলেও ব্যতিক্রম পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নেছারুদ্দিন সিনিয়র ফাযিল মাদরাসা। দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চরম অযত্ন আর অবহেলায় ছিল প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে শ্রেণিকক্ষের দরজা-জানালা থেকে শুরু করে টিনের চালের রুয়া,চেড়া নষ্ট হয়ে গেছে। তাই ১২ সেপ্টেম্বর মাদরাসায় ক্লাস চালু করতে মাদরাসার প্রবেশমুখের সৌন্দর্যবর্ধনের গাছ কাটা শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রশাসনের অজান্তেই বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কেটে ফেলা হয়েছে বিশাল আকারের একটি চাম্বল গাছ। 

যদিও মাদরাসার অধ্যক্ষ বলছেন, মাদরাসায় ফান্ড না থাকায় এ গাছ কেটেছেন। আর গাছ কাটায় পরিচালনা পরিষদের অনুমতি ছিল।

কলাপাড়া পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রে এই মাদরাসার চারদিক বেশ মনোরম। মাদরাসার প্রবেশমুখের দুইপাশে বিশাল বিশাল মেহগনি, চাম্বল আর ইউক্যালিপটাস গাছের সারি। যার ছায়ায় শিক্ষার্থীরা অবসর সময় কাটায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার হঠাৎ মাদরাসার টিনের চাল ও দরজা মেরামতের জন্য কেটে ফেলা হয়েছে প্রায় ত্রিশ বছরের পুরনো বিশাল একটি চাম্বল গাছ। 

স্থানীয়রা বলেন, এমনিতেই মাদরাসায় ঠিকমতো ক্লাস হতো না কখনো। মাদরাসার প্রচুর সম্পত্তি থাকলেও ক্লাস রুম কখনো মেরামত করা হতো না। কিন্তু করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এখানে কোনও শিক্ষকের পদচারণা ছিলো না। এ কারণে অধিকাংশ কাঠের দরজা, জানালা, টিনের চালের রুহা, চেড়া পানিতে ভিজে পঁচে গেছে। তাই এগুলো মেরামত করার জন্য গাছ কেটেছেন।

বিষয়টি স্বীকার করে মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, মাদরাসায় ফান্ড না থাকায় তারা টাকার অভাবে এই গাছ কেটে চেরাই করে রুহা, চেড়া করেছেন। এই গাছ কাটার বিষয়টি অনেক আগেই পরিচালনা পরিষদে অনুমতি ছিলো। তবে সেটা কতো তারিখের সভায় তা জানাতে পারেনি।

কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, তিনিও পরিচালনা পরিষদের সদস্য। তবে কোন সভায় এ গাছ কাটার রেজুলেশন হয়েছে তা জানেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি। তবে কেন কী কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা হয়েছে তা অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে জানা হবে। 

তবে সৌন্দর্যবর্ধনের গাছ কাটা ঠিক হয়নি বলে জানান তিনি।

এমকেআর/এডিবি/