ন্যাভিগেশন মেনু

ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধে কাঁচা হলুদ


দীর্ঘদিন ধরে রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসা হলুদ কেবল স্বাদই বাড়ায় না, খাবারের পুষ্টিগুণও বাড়ায় অনেকাংশে। আর তাই হলুদকে অনেকসময় ‘মিরাকল হার্ব’ বা অলৌকিক ভেষজ বলা হয়ে থাকে। অধিকাংশ তরকারিতে তো বটেই, দুধ কিংবা কফির সঙ্গেও যোগ করা হয় এই মশলা।

হলুদ শুধু রান্নার কাজেই নয়, হলুদের আরও অনেক গুণ আছে, যার বেশিরভাগই আমাদের কাছে অজানা।

চলুন জেনে নেয়া যাক হলুদের কিছু অজানা উপকারিতা সম্পর্কে-

হলুদে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে ও কারকিউমিন নামক রাসায়নিক থাকে যা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়। হালকা গরম দুধ, পানি বা চায়ের সাথে কাঁচা হলুদ খেলে তা ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

বহু প্রাচীনকাল থেকেই কাঁচা হলুদকে হাড়ের নানারকম রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কাঁচা হলুদ বেটে ভাঙ্গা হাড়ের জায়গায় লাগালে তা উপকার দেয়। দুধে কাঁচা হলুদ দিয়ে খেলেও তা এক্ষেত্রে উপকার দেয়। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ব্যথা, প্রদাহকে কমায় এবং হাড়ের টিস্যুগুলিকে রক্ষা করে ও ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগতে সাহায্য করে।

এদিকে ট্রমাটিক ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে যেসমস্ত খারাপ, ভীতিজনক স্মৃতি থাকে, কিংবা মনের মধ্যে এই সকল পুরনো স্মৃতি যে ভয়ভীতির জন্ম দেয় হলুদে থাকা কারকিউমিন তা কমাতে সাহায্য করে।

কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন ক্যান্সার দূর করতে সহায়তা করে। কারকিউমিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে তাদের মৃত্যু ঘটায়।

কাঁচা হলুদ দাঁতের ওপরে থাকা এনামেলের আস্তরণকে রক্ষা করে ও দাঁতের ক্ষয় থেকে দাঁতকে বাঁচায়। হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী থাকায় তা জীবাণুকে থেকেও দাঁতকে রক্ষা করে।

হলুদের অন্য এক উপাদান ‘পলিফেনল’ চোখের অসুখ ‘ক্রনিক অ্যান্টিরিয়ার ইউভেইটিস’ সারাতে কর্টিকোস্টেরয়ডের কাজ করে।

হলুদ খাওয়ার সেরা উপায়:

কালো গোল মরিচের গুঁড়ার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে এর উপকারিতা অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন কাঁচা হলুদের সঙ্গে গোল মরিচ মিশিয়ে খেতে। দুধের সঙ্গে হলুদ ফুটিয়েও পান করতে পারলে এটি বেশ উপকার দেয়। কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়।

কাঁচা হলুদ রক্তের দূষিত উপাদান বের করতে সক্ষম। ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে এর জুড়ি নেই। তাই প্রতিদিন আমাদের খাবারের তালিকায় হলুদ ব্যবহারের জুড়ি নেই।

ওয়াই এ/ এডিবি