ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার পাটিখালা ইউনিয়নে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে মুক্তিপণ দাবী করেছে বলে অভিযোগের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দিবাগত রাতে ইউনিয়নের মাঝেরপুল এলাকার একটি বাসা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত দুই নারীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, ওই রাতেই নির্যাতনের শিকার মেয়েটি বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে কাঁঠালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। শুক্রবার দুপুরে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মেয়েটি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়েটির সঙ্গে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রিমন হাওলাদার তানভীরের পরিচয়ের পরে প্রেমের সর্ম্পক হয়। গত ২৬ মে তানভীর তার বন্ধু রায়হানকে নিয়ে নাজিরপুরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যায়। ওই দিনই মোটরসাইকেলযোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিয়ে যাওয়ার পথে কাঁঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মাঝেরপুল এলাকায় বখাটে রিপন জমাদ্দার, আফজাল ও রাকিবসহ কয়েকজন যুবক তাদের আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইলফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। পরে ওই ছাত্রীকে পাশের একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা।
পরে তাদের তিনজনকে স্থানীয় হোসনেয়ারা বেগমের ঘরে তিনদিন ধরে আলাদা আলাদা কক্ষে আটকে রেখে অভিভাবকদের কাছে ৫০ হাজার টাকা করে মোবাইল ফোনে মুক্তিপন দাবি করে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।
বৃহস্পতিবার রাতে রিমন হাওলাদার তানভীরের অভিভাবক মুক্তিপনের ৩০ হাজার টাকা বখাটেদের হাতে তুলে দেওয়ার সময় স্থানীয় জনগনের সহায়তায় কাঁঠালিয়া থানার পুলিশ বখাটে রিপন জমাদ্দারকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ি হোসনেয়ারা বেগম, তার মেয়ে, বখাটে আক্কাস, বেল্লাল ও রাকিবকে আটক করে।
বিষয়টি নিয়ে কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কলেজছাত্রী, তার প্রেমিক তানভীর ও বন্ধু রায়হানকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এডিবি/
