ন্যাভিগেশন মেনু

কাবুল ছাড়া হলো না ১৭০ ছাত্রীর,বিমানবন্দর থেকে ফিরে গেলেন ৯ বাংলাদেশি


গত কয়েকদিন কাবুল বিমানবন্দরে আফগানিস্তান ত্যাগের হিড়িক লেগেই আছে। আফগানিস্তান থেকে আজ বুধবার দেশটির ১৭০ নারী শিক্ষার্থীর ঢাকায় আসার কথা ছিল। তারা চট্টগ্রামে অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের ছাত্রী।তাদের বোর্ডিং পাসও রেডি ছিল।

তারা একটি গাড়িতে করে কাবুল বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। তখন তাদের জানানো হলো, তারা যেতে পারছেন না। ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ঠিক কী কারণে ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তা জানা যায়নি। এদিকে,আফগানিস্তানে আটকেপড়া ১০ বাংলাদেশিরও আসার কথা ছিল।

তারা হলেন ব্র্যাকের আটকে থাকা ছয়জন এবং আফগান ওয়ারলেস কোম্পানিতে কর্মরত ছয় বাংলাদেশি।   কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছাত্রীরা নিজ দেশ আফগানিস্তান ফিরে গিয়েছিলেন।

এখন দেশটিতে তালেবানের উত্থানের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা বাংলাদেশে ফিরতে চান।তখন জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা- ইউএনএইচসিআর উদ্যোগ নিয়ে বিশেষ ফ্লাইটে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাংলাদেশে আসার আগে তারা টিকা নিয়েছেন।

এদিকে,বিশেষ ফ্লাইটে আফগানিস্তানে আটকেপড়া ১০ বাংলাদেশিরও আসার কথা ছিল। তারা হলেন ব্র্যাকের আটকে থাকা ছয়জন এবং আফগান ওয়ারলেস কোম্পানিতে কর্মরত ছয় বাংলাদেশি। যুদ্ধকবলিত আফগানিস্তানে আটকে পড়া ২৭ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বলে ২২ আগস্ট জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

মন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর স্বস্তি ফিরেছিল তাদের মনে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) জাতিসংঘের উদ্যোগে একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রথম ধাপে ৯ বাংলাদেশির দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু কাবুল বিমানবন্দরের ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই হওয়ার খবরে তাদের আর দেশে ফেরা হয়নি।

সব কিছু গুছিয়ে দুপুর ৩টা নাগাদ যাত্রা করেন কাবুল বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মাঝপথে খবর এলো বিমানবন্দর থেকে যাত্রীসহ ইউক্রেনের একটি বিমান ছিনতাই হয়েছে। এমন খবরে তোলপাড় আফগানিস্তান জুড়ে। আর নিরাপত্তা সংকটের দেখিয়ে বাতিল হলো ফ্লাইট। শেষ পর্যন্ত ৯ বাংলাদেশির আফগানিস্তান থেকে দেশে ফেরা হলো না।১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবানরা। বন্ধ হয়ে যায় দেশটির সঙ্গে আকাশপথে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ।

অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মতো অনিশ্চয়তায় পড়েন দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিরাও। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৭ জন বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে।একই ফ্লাইটে আসার কথা ছিলো আফগান ওয়্যারলেসের পিবিএক্স ও কন্টাক্ট সেন্টার অপারেশনের প্রধান রাজিব বিন ইসলামের।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ব্র্যাকের ৩ জন এবং আফগান ওয়্যারলেসের কাজ করা ৬ জনের আজ ফ্লাইটে দেশের আশার কথা ছিল। আমরা বিমানবন্দরের পথে ছিলাম। হঠাৎ খবর এলো, নিরাপত্তার কারণে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এখন আমরা জানি না, আবার কবে ফ্লাইট পাবো। সংকটের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অনেক বাংলাদেশি আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন।

যারা আটক আছেন তারা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সরকারিভাবে বিশেষ ফ্লাইট বা অন্য কোনোভাবে আসার ব্যবস্থা হলেই তারা ফেরত আসবেন।এদিকে, কাবুল থেকে যাত্রীসহ নিজেদের কোনও বিমান ছিনতাই হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে ইউক্রেন। বিমানটি ঠিকঠাকভাবেই রাজধানী কিয়েভ-এ ফিরে গেছে বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো।

এস এস