ন্যাভিগেশন মেনু

কাবুল থেকে ইউক্রেনের উড়োজাহাজ ছিনতাই


আফগানিস্তানের কাবুল থেকে ইউক্রেনের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে নিয়ােজিত একটি ইউক্রেনের উড়োজাহাজ ছিনতাই হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভজেনি ইয়েনিন।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রুশ সংবাদমাধ্যম তাস জানায়, ইয়েভগেনি ইয়েনিন জানান, কাবুল বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই ‘অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা’ উড়োজাহাজটি ছিনতাই করে ইরানে উড়িয়ে নেয়।

তিনি বলেন, ‘গত রবিবার আমাদের একটি প্লেন ছিনতাই হয়েছে। মঙ্গলবার প্লেনটি থেকে ইউক্রেনের যাত্রীদের নামিয়ে অন্যদের নিয়ে এটি ইরানে চলে যায়। বিমানটি আমাদের কাছ থেকে চুরি করা হয়েছে’।

এর ফলে আফগানিস্তান থেকে আমাদের পরবর্তী তিনটি অপসারণ প্রচেষ্টাও সফল হয়নি কারণ আমাদের নাগরিকরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি, বলেন ইয়েভগেনি ইয়েনিন।

তিনি জানান, ছিনতাইকারীরা সশস্ত্র ছিল। তবে, উপমন্ত্রী বিমানটির কী ঘটেছিল বা কিয়েভ এটি ফেরত পেতে চাইবে কি-না বা ইউক্রেনের নাগরিকরা কাবুল থেকে কীভাবে ফিরে এসেছিল এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।

তিনি শুধু জানান, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবার নেতৃত্বে কূটনীতিবিদরা সারা সপ্তাহ ধরে বিমানটির খোঁজ করছিলেন। বিমানটি ভেঙে পড়েছে কি-না, তার সন্ধান চালানো হচ্ছিল। অবশেষে আজ জানা গেলো, বিমানটি ছিনতাই করা হয়েছে।

রবিবার আফগানিস্তান থেকে কিয়েভে পৌঁছায় সামরিক বাহিনীর একটি বিমান। সেই বিমানে ছিলেন ইউক্রেনের ৩১ জন নাগরিকসহ মোট ৮৩ জন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর ১২ জন কর্মকর্তা দেশে ফিরেছেন। বিদেশের যে সব সাংবাদিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা উদ্ধারের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন, তাদেরও ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আফগানিস্তানে ওয়াশিংটনের ২০ বছরের দীর্ঘ সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে। এর পর যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সেনা প্রত্যাহার শুরু করার পর তালেবানরা আফগান সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। ১৫ আগস্ট তালেবান যোদ্ধারা কোন প্রতিরোধের সম্মুখীন না হয়ে দেশটির রাজধানী কাবুল দখলে নেয়।

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বলেছেন, তিনি রক্তপাত রোধে পদত্যাগ করেছেন এবং পরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

বর্তমানে পশ্চিমাদেশগুলো সহ বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিক এবং দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছেন।

এডিবি/