ন্যাভিগেশন মেনু

ম্যারাডোনার দেহ সংরক্ষণে আদালতের নির্দেশ


প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার মরদেহ ‘অবশ্যই সংরক্ষণ’ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আর্জেন্টিনার একটি আদালত। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত মাসে মারা যান ফুটবলের এই মহাতারকা। রাজধানীর পাশে তার শেষকৃত্য হয় ২৬ নভেম্বর।

ঠিক কী পরিমাণ সম্পত্তি রেখে গেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা, এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ১ থেকে ৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ। যার ভাগ চেয়ে নিজেদের ম্যারাডোনার সন্তান বলে দাবি করেছেন ছয়জন। তাদের মামলা আদালতে উঠলে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মরদেহ কবর থেকে ওঠানোর প্রসঙ্গ আসে আদালতে। সেসবকে পাত্তা দেননি আদালত। যেকোনো দাবির ভিত্তিতেই হোক না কেনো, ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তির দেহ সংরক্ষণ ও কবর থেকে না ওঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এরমধ্যে রয়েছে জমি, বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি, গহনা। যেসব দেশে তিনি খেলেছেন বা কোচিং করিয়েছেন বা অন্য কোনভাবে যুক্ত ছিলেন সেই আর্জেন্টিনা, স্পেন, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলারুশ, মেক্সিকোয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সব সম্পত্তি।

এসবের দাবি যারা জানাতে পারেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন স্বীকৃত পাঁচ সন্তান। চারজন আর্জেন্টিনায়, একজন ইতালিতে। আছেন আরও ছয়জন, যারা নানা সময়ে নিজেদের ম্যারাডোনার সন্তান বলে দাবি করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ম্যারাডোনা বলে এসেছেন জিয়ানিনা এবং ডালমা ছাড়া তার আর কোনো সন্তান নেই। এ দুজনই ম্যারাডোনার সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া ভিলাফেনের কন্যা। দীর্ঘ ২০ বছরের বিবাহিত জীবন কাটানোর পর ক্লদিয়ার সঙ্গে ম্যারাডোনার বিচ্ছেদ হয় ২০০৩ সালে।

যার বাইরে ম্যারাডোনা আরও ছয় সন্তানের কথা স্বীকার করতেন। চারজন কিউবায়, দুজন আর্জেন্টিনায়। রয়েছেন সাবেক স্ত্রী-বান্ধবীরাও। ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তির দাবি জানিয়ে লড়াইয়ে নামেন আরও দুই ‘সন্তান’ সান্তিয়াগো লারা এবং মাগালি গিল। দুজনেই বলেছেন, তারা নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আইনি পথে নামবেন। বাদ নেই ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাংবাদিক, এমনকি চিত্রগ্রাহকরাও।

আদালতে ম্যারাডোনার আইনজীবী জানিয়েছেন, ম্যারাডোনার ডিএনএ এরইমধ্যে সংরক্ষিত আছে। যার কারণে তার মরদেহ কবর থেকে তোলার কোনো প্রয়োজন নেই। তার বক্তব্য মেনে কবর খোঁড়ার দাবিকে নাকচ করে দিয়েছেন ন্যাশনাল কোর্ট। সন্তান দাবি করা মাগালি গিলের চাওয়া দ্রুত নিষ্পত্তি ও ম্যারাডোনার ডিএনএ কৌঁসুলির অফিসে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ওআ/