ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্ত কাউন্সিলর মো. ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন দুই আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে শ্রী প্রাণনাথ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৮ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় তিনদিন এবং মাদক মামলায় দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, রবিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ইরফানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করা হয়।
এরপরই দুপুরে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ইরফান সেলিমের বাসা থেকে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও অনুমোদন ছাড়া বিদেশি মদ সেবনের দায়ে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে একবছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এমআইআর/এডিবি
