ন্যাভিগেশন মেনু

কার্য তালিকায় ঢাকা সিটি লকডাউন নিয়ে রিট, শুনানি হতে পারে রবিবার


করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঢাকা শহরকে লকডাউন ঘোষণা ও চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত হাই ফ্রো-নেজাল অক্সিজেন ক্যানোলা সংগ্রহের নির্দেশনা চেয়ে দাখিল করা রিটটি রবিবারের কার্য তালিকায় ৭ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

রিটটি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল আদালতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এর আগে ১১ জুন রিট আবেদনটি দাখিল করা হয়।

রিটে বাদী হয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল ইসলাম। বিবাদী করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল), অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন), ঢাকার পুলিশ কমিশনার, র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে।

১১ জুন এক বিজ্ঞপ্তিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘মহামারি করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণে ঢাকা শহরে হাজার হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন।’

গত ১৮ এপ্রিল সরকার প্রফেসর মো. শহিদুল্লাহকে সভাপতি করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। পরে পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় উক্ত কমিটি সবশেষ ৮ জুন এক সভায় সর্বসম্মতভাবে মৃত্যু কমানোর জন্য নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত নেন ও কার্যকর করার সুপারিশ করেন।

সেখানে বলা হয়েছে,

১. ঢাকা শহরকে কড়াকড়িভাবে সম্পূর্ণ লকডাউন করতে হবে। আর তা না হলে মৃত্যু মেনে নিতে হবে। ‘এলাকাভিত্তিক লকডাউন’ কোনো সুফল বয়ে আনবে না। হলুদ জোন, লাল জোন মিলেমিশে আছে। ‘ঢাকাকে পুরোপুরি লকডাউন করতেই হবে’-  এ ধরনের স্পষ্ট  ‘এভিডেন্স বেজড’ বা ডাটা বিশ্লেষণ করে পরামর্শ দিয়েছে ইপিডেমোলজিস্টদের সমন্বয় গড়া সাব-কমিটি। বিস্তারিত আলোচনার পর জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির আলোচকরা ইপিডেমোলজিস্টদের সঙ্গে একমত হন এবং সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করা হয়।

২. বারবার পরামর্শ ও তাগিদ দেওয়ার পর এখনও জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনীয় একটি চিকিৎসাকৌশল, ‘হাই ফ্লো-নেজাল অক্সিজেন ক্যানোলার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি। অতি দ্রুত, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারভিত্তিতে কালক্ষেপণ না করে অনতিবিলম্বে এর জোগান নিশ্চিত করার জোরালো তাগিদ পাস করা হয়। এ ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের জটিলতা দূর করে, প্রয়োজনে আলাদা রেজ্যুলেশন করে মানুষের জীবন রক্ষায় ‘হাই ফ্লো-নেজাল অক্সিজেন ক্যানোলার’ পর্যাপ্ত প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মতামত দেন পরামর্শকরা।

৩. চিকিৎসকরা ব্যাপক হারে মারা যাচ্ছেন, সংক্রমিত হচ্ছেন। তাদের চিকিৎসা-সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও সেবা ভেঙে পড়বে। ইতোমধ্যে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। সুতরাং কভিড-১৯ সংক্রমিত চিকিৎসকদের (স্বাস্থ্যকর্মীসহ) যথাযথ চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন সরবরাহের সার্বিক সুবিধাসহ আলাদা হাসপাতালের ব্যবস্থা কালক্ষেপণ না করে নিশ্চিত করতে হবে।

মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, রিট আবেদনে বিবাদীদের ওপর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে ঢাকাকে দ্রুত লকডাউন ঘোষণার জন্য। উক্ত সময় সিটি করপোরেশনের মেয়ররা কমিশনারদের (কাউন্সিলর) মাধ্যমে প্রত্যেক এলাকায় গরিবদের প্রয়োজনে খাদ্য ও মেডিসিন সরবরাহ করবেন। উক্ত কাজে সরকার লজিস্টিক সাপোর্ট দেবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত হাই ফ্রো-নেজাল অক্সিজেন ক্যানোলা সংগ্রহের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

সিবি/এডিবি