গাজীপুরের কালিয়াকৈরে লিমু আক্তার লামিয়া নামে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগে বাড়ির ভাড়াটিয়া স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে ওই দম্পতিকে আটক করে পুলিশ।
লামিয়া সুত্রাপুর এলাকার সাহেব আলীর মেয়ে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, তিনমাস আগে বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া এলাকার সুমন মিয়া ও তার স্ত্রী মিলি বেগম বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। ৫ হাজার টাকা বাসা ভাড়া বাকি নিয়ে বাক বিতন্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে লামিয়াকে জবাই করে হত্যার পর মরদেহ পাশের খালের পানিতে ফেলে রাখে। পরে পরিবারের লোকজন লামিয়ার নিখোঁজের বিষয়টি কালিয়াকৈর থানায় জানায়।
পরে বাড়ি আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তারা। এ সময় বাড়ির পাশে পুকুরে খুঁজতে নেমে অভিযুক্ত সুমন পানির নীচে মরদেহের উপর দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দিকে খোঁজার পরামর্শ দেয় এলাকাবাসীকে। পড়ে তাদের সন্দেহ হলে সুমনের কাছে গিয়ে তার পায়ের নীচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।
পরে পুলিশ লামিয়ার মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, পরে বিষয়টি বলা যাবে।
এডিবি/
