ন্যাভিগেশন মেনু

কুমিল্লায় মহাসড়কের কালভার্টের মুখে ড্রেন নির্মাণ


কুমিল্লার আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার একাধিকস্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় প্রধান মহাসড়কের ফোরলেনের কালভার্টের মুখে ড্রেন নির্মাণ করে স্ল্যাব দিয়ে ডেকে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে দুটি উপজেলার মহাসড়কের পাশে বিস্তির্ণ এলাকাজুড়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় সুত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় প্রধান মহাসড়কের কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ময়নামতি সেনানিবাস সংলগ্ন আমতলী এলাকায় রয়েছে একটি কালভার্ট। মহাসড়কের ময়নামতি সেনানিবাসের প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ড্রেন কালভার্টটির সাথে সংযুক্ত রয়েছে।

এ ছাড়াও সেনানিবাস সংলগ্ন নিশ্চিন্তপুর, কাচিয়াতলী ও গোমতী পাড়ের আমতলী এলাকার পানি নিস্কাশনের একমাত্র ব্যবস্থা এই কালভার্ট হয়ে। কিছুদিন ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র কালভার্টটির মুখে ড্রেন নির্মাণ করে ড্রেনের উপর স্ল্যাব বসিয়ে আশপাশে মাটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। এ অবস্থায় কালভার্টের মুখটি সংকুচিত হয়ে গেছে। এতে পানি নিষ্কাশন স্বাভাবিক না হওয়ার কারণে উল্লেখিত এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছে সাধারণ মানুষ।

একইভাবে  মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার নাজিরাবাজার এলাকায় কালভার্টের মুখে মাটি ফেলে ভরাট করায় পানি প্রবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। মহাসড়কের কোরপাই এলাকাতেও আরও দুইটি কালভার্টের মুখে স্থাপনা নির্মাণের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি নিষ্কাশন। ফলে কুমিল্লার আলেখারচর থেকে বুড়িচংয়ের কোরপাই পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকার মহাসড়কের উত্তরপাশের গ্রামগুলোর পানি নিষ্কাশন বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ওই স্থানগুলোতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে।

নাজিরাবাজার, কোরপাই এলাকার অনেক কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মহাসড়কের দুইপাশে উন্মুক্ত জলাশয়ের পানি প্রবাহের জন্য কালভার্টগুলো নির্মিত হলেও মহাসড়কের পাশের মুল্যবান ভূমি মালিকরা এসব কালভার্টের মুখে স্থাপনা নির্মাণ করছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্ট হচ্ছে।

বিষয়টি জানতে চাইলে, কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মহাসড়ক,সড়কের দু’পাশের উন্মুক্ত জলাশয়ের পানি নিস্কাশনের জন্য বিভিন্নস্থানে কালভার্ট তৈরি করা হয়েছে। এসব কালভার্ট হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধের কোনো সুযোগ নেই। কেউ চাইলেই এটা ভরাট করতে পারেনা।

প্রসঙ্গত, মহাসড়কের পাশের জায়গার দাম অত্যধিক হওয়ায় কিছু প্রভাবশালী লোক ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক পরিচয়ে কালভার্টের মুখের ড্রেন বা খালগুলোর মুখে ড্রেন করে বা ভরাট করে, কোথাও বা সরু পাইপ বসিয়ে নামমাত্র পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা রেখে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছে।

এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের দাবি, মহাসড়কের পাশের উন্মুক্ত জলাশয়ের পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে কালভার্টগুলোর মুখ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক।

সিবি/এডিবি