ন্যাভিগেশন মেনু

কুরবানির ঈদে বাড়ি যাবেন না, ঢাকাবাসীকে অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদফতরের


বেশ জোরালোভাবেই বাংলাদেশে আছড়ে পড়েছে বৈশ্বিক করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। আর সেই ঢেউয়ে দেশে লাগাতারভাবে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা।বিশেষ করে দেশের জেলাগুলোতে সংক্রমণ হানা দিয়েছে জোরেসোরে। 

দেশের উত্তর জনপদ রাজশাহী-নওগাঁ থেকে শুরু করে দক্ষিণের খুলনা-সাতক্ষীরা-মাগুরা-নড়াইল ও পশ্চিমের কুষ্টিয়া জেলায় আছড়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। মৃত্যুর মিছিল বড় হচ্ছে। বাড়-বাড়ন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গেলো ঈদুল ফিতরের মতো জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে কুরবানির ঈদে মানুষকে বাড়ি যেতে নিরুৎসাহিত করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। 

রবিবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এই করা হয়।রবিবার ২৪ ঘণ্টায় সবোচ্চ সংখ্যক অথাৎ ৮২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আগেরদিন ছিল ৬৭। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট ১৩ হাজার ৫৪৮ জনের মৃত্যু হলো।

দেশের উত্তর জনপদ জেলা রাজশাহীতে চলতি মাসের ১৯ দিনে (১ জুন ১৯ জুন সকাল পর্যন্ত) শুধু রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৯৩ জন। নাটোর পৌরসভা ও সিংড়া পৌরসভায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৫ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। 

সংক্রমণের হার ৭০.৬৫ শতাংশ বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান। রাজশাহীতে আরও এক সপ্তাহ বাড়লো সর্বাত্মক লকডাউন। রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া বেড়েছে মৃত্যুর হারও।রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ১০ জনের বেশি। 

এর মধ্যে সর্বাধিক ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ১৪ জুন। রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগও বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে ২২ জুন থেকে সাত দিনের জন্য দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা খুলনা মহানগরীতে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হচ্ছে। 

এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচামাল ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন ছাড়া কোনো গণপরিবহণ খুলনায় প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না। কেননা খুলনা বিভাগে করোনায় মৃত্যু এবং আক্রান্তের হার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ঘরমুখো মানুষকে নিরুৎসাহিত করছি। এটা গতবারও বলেছি আমরা। যার যার ঘরে থেকে ঈদ উদযাপন করতে হবে। 

কুরবানির পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মানলে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো সম্ভব হবে।

এস এস