দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে কুষ্টিয়ায় আদালত প্রাঙ্গণে ময়লা ঢেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
পরে ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ মো: তৌহিদুল ইসলামের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।
বিক্ষোভ চলাকালীন হরিজন সম্প্রদায়ের মালতি রানী, রুমাসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, 'তাদের সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত বেতন বকেয়া পড়ে রয়েছে। দিনের পর দিন তাদের বেতন না দিয়ে নানা টালবাহনা করা হচ্ছে। বেতন চাইতে গেলে উল্টো তাদেরকে নানা হেনস্তা হতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন বেতন বকেয়া থাকায় শিশু সন্তান পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদেরকে নিদারুন কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। হাট-বাজার, মুদি দোকানে অনেক টাকা বাকি পড়ে যাওয়ায় দোকানদাররা তাদেরকে এখন আর বাকিও দিচ্ছে না। তাই তারা উপায়ান্তর না পেয়ে বাধ্য হয়ে পথে নেমেছেন।'
তারা আরও অভিযোগ করেন, 'অগ্রাধিকার থাকা সত্ত্বেও এ প্রতিষ্ঠানে ক্লিনার, ঝাড়ুদার, সুইপার পদে হরিজনদের বাদ দিয়ে যারা হরিজন নন এমন ব্যক্তিদেরকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।'
হরিজনদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জজ কোর্টের নাজির আলাউদ্দিন আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, 'কুষ্টিয়া জজ কোর্টে তিনজন সুইপার/ঝাড়ুদার, মালি, নৈশ্য প্রহরী সব মিলিয়ে ১৩ জন কর্মরত রয়েছেন। এরা প্রত্যেকেই অস্থায়ী ভিত্তিতে দৈনিক ১৫০ টাকা হাজিরায় কাজ করেন। ৫-৬ মাস পর পর আনুষাঙ্গিক প্রতিষ্ঠান খাত থেকে এদের বেতন পরিশোধ করা হয়। এবার এদের বেশ কয়েক মাসের বেতন বকেয়া পড়ে গেছে। যে কারণে তারা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করে।'
পরে ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ মো: তৌহিদুল ইসলাম আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদেরও বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
আই আই/ এস এ /এডিবি