ন্যাভিগেশন মেনু

কুষ্টিয়ায় ময়লার স্তুপ থেকে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার


কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শ্বশুরবাড়ির পাশের ময়লার স্তুপ থেকে রেশমা (২৬) নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের ওহাবের ছেলে সুমনের ঘরের পাশ থেকে পুলিশ রেশমার মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত রেশমা কুমারখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে। তবে ঘটনার পর থেকেই ঘাতক স্বামী সুমন পলাতক রয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে সুমনের সাথে রেশমার বিয়ে হয়। গত দুইদিন যাবত রেশমা শ্বশুরবাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হন। শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে সুমনের বসতঘরের পাশে ময়লার স্তুপে মানুষের হাতের তিনটি আঙ্গুল দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ময়লার স্তুপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে মরদেহটি রেশমার বলে সনাক্ত করেন নিহত রেশমার ভাই সুজন। সনাক্তের পর পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

নিহতের ভাই সুজন বলেন, স্বামীর বাড়ি থেকে আমার বোন নিখোঁজ হওয়ার পর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও বোনের কোন সন্ধান পাইনি। পরে দুপুরে লোকমুখে শুনে সুমনের বাড়ির পিছন থেকে বোনের মরদেহ খুঁজে পাই।

সুমন দাবি করেন, তার বোনকে নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী সুমন রেশমাকে হত্যা করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরদেহ ময়লার স্তুপে চাপা দিয়ে রাখে। পুলিশ ঘাতক সুমনকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। 

ইএইচ/ সিবি/এডিবি