ন্যাভিগেশন মেনু

কুয়াকাটায় ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ চালু


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবার কুয়াকাটায় চালু হয়েছে ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ সার্ভিস। অর্থাৎ মাস্ক ছাড়া সমুদ্র সৈকত ও অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

‘নিজে নিরাপদ থাকুন ও অপরকে নিরাপদ রাখুন’ এবং ‘ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন’- এ স্লোগানে কুয়াকাটা সৈকতে ঘুরে ঘুরে পর্যটকদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করছে টুরিস্ট পুলিশ। একই সঙ্গে মাস্ক ছাড়া সৈকতে আসা পর্যটকদের পর্যটকদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার থেকে সৈকতের প্রবেশ দ্বারে জিরো পয়েন্টে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আগত পর্যটকরা মাস্ক ছাড়া সৈকতে প্রবেশের চেষ্ট করলে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এর পর পরই মাস্ক’র চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে কুয়াকাটা পর্যটকদের মধ্যে মাস্ক কেনার হিরিক পড়ে গেছে।

আগত পর্যটক তৌহিদুল আলম নিহান বলেন, শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। ট্যুরিষ্ট পুলিশ ভাল উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এর ফলে কিছুটা হলেও সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। তবে সবার সুস্থ থাকার জন্য মাস্ক ও ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাজার ব্যাবহার করা উচিৎ বলে তিনি জানান।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের ইন্সপেক্টর মো. বদরুল কবির বলেন, আগত পর্যটকদের মাস্ক ও ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাজার ব্যাবহারে নিশ্চিত করতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং করা হচ্ছে। শীত মৌসুমে করোনাভাইরাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে সেটা মোকাবিলায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে অনেক পর্যটকরা মানছেনা। এ জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হলে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য সচেতনতার লক্ষে বৃহস্পতিবার মহিপুর পুলিশ ও কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের সদস্যদের সাথে নিয়ে কুয়াকাটার সৈকতে প্রচার অভিযান চালিয়েছি। এসময় মোবাইল কোট পরিচালনাসহ আগত পর্যটকদের মাঝে মাস্ক বিতরন করা হয়েছে।

ওআ/