ন্যাভিগেশন মেনু

কেটে রাখা ফল সংরক্ষণের রেসিপি


কলা, আপেল, আম ইত্যাদি ফল কেটে রাখার কিছুক্ষণ পরই কালচে হয়ে যায়। অনেকে আবার বলেন, এতে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে।

তবে লেবুর রস, বাতাস রোধী প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং শীতল রাখার ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

লাইফস্টাইলবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এ ধরনের উপায় ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে কাটা ফল সংরক্ষণ করা যায় তার কিছু উপায় উল্লেখ করা হয়।  

লেবুর রস: বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে ফল কালচে হয়ে যায়। লেবুর রসে থাকা সিট্রিক অ্যাসিড ‘অক্সিডেশন’ রোধ করতে সাহায্য করে। দেড় বোল কাটা ফল সংরক্ষণের জন্য একটি লেবুর রসই যথেষ্ট। 

লেবুর রস বের করে পুরো ফলের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে যেন প্রতিটি ফলের গায়ে রস লাগে। তবে ফল চটকানো যাবে না। 

লেবুর রস মাখানোর পর ফ্রিজে ফলগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। এভাবে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত কাটা ফলগুলো তাজা থাকবে।

প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনাম ফয়েল: ফলে লেবুর রস মাখালে এর আসল স্বাদ পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে ভেবে অনেকেরই ওই পদ্ধতি পছন্দ নাও হতে পারে। তারা ফলগুলো প্লাস্টিক বা অ্যানুমিনাম ফয়েলে মুড়িয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে ছোট কয়েকটি ফুটা করে নিতে ভুলবেন না। 

মুড়িয়ে রাখার ফলে ফ্রিজে রাখা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে ফলের গন্ধ মিলে যাবে না, তবে ছোট ফুটা রাখার কারণে ভেতরে বাতাস চলাচল করবে। তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমাধান নয়। তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে ফল তাজা থাকবে।

সিট্রিক অ্যাসিড পাউডার: সিট্রিক অ্যাসিডের পাউডার কিনতে পাওয়া যায় যা ফল সংরক্ষণে লেবুর রসের বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ফলের স্বাদে খুব একটা পরিবর্তন আসে না বরং আরও দীর্ঘ সময় ফল তাজা রাখতে সাহায্য করে। 

প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত এই পাউডার ফল টাটকা রাখবে। 

ঠাণ্ডা পানি: বরফকুচি দেওয়া ঠাণ্ডা পানিতে কাটা ফল ডুবিয়ে রাখলে তা প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত ফল কালো হয় না।

এস এস