ন্যাভিগেশন মেনু

কোভ্যাক্সিনের তুলনায় বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করে কোভিশিল্ড


ভারতে করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে দ্রুতগতিতে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে দেশের বাজারে হাজির একাধিক ভ্যাকসিন। আমজনতার কাছে বেশি করে পৌঁছে যাচ্ছে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন। কিন্তু কোনটা বেশি কার্যকরী? কোন টিকা বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে? তা নিয়ে কৌতূহল সকলের। আর সেই কৌতূহল নিরসন করতে বিশেষ সমীক্ষা চালিয়েছেন চিকিৎসক এ কে সিংহ এবং তাঁর সহকর্মীরা। কী বলছে সেই সমীক্ষার ফলাফল?

কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজই নিয়েছেন এমন পাঁচশোর বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করেন ওই চিকিৎসকেরা। তাতে দেখা গিয়েছে, কোভ্যাক্সিনের তুলনায় কোভিশিল্ড বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম।

অর্থাৎ সমীক্ষা বলছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিনের তুলনায় কোভিশিল্ড বেশি কার্যকরী। তবে টিকা নিয়ে বিভ্রান্ত না হতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।  তাঁদের কথায়, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দু’টি টিকা নেওয়ার পর সকলের শরীরেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে যথেষ্ট কার্যকর দুটি ভ্যাকসিনই।

কীভাবে হয়েছে এই সমীক্ষা? ৫৫২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩২৫ জন পুরুষ এবং ২২৭ জন মহিলা। এঁদের মধ্যে ৪৫৬ জনকে কোভিশিল্ড এবং ৯৬ জনকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। দেখা গিয়েছে, কোভিশিল্ড নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরে ৯৮.১ শতাংশ এবং কোভ্যাক্সিন নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ৮০ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

বিশেষ এক ধরনের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, কোভিশিল্ড গ্রহীতাদের প্রতি মিলিলিটারে ১১৫ আরবিট্রারি ইউনিট অ্যান্টিবডি টাইটার পাওয়া গিয়েছে। কোভ্যাক্সিনের গ্রহীতাদের ক্ষেত্রে প্রতি মিলিলিটারে ৫১ আরবিট্রারি ইউনিট অ্যান্টিবডি টাইটার মিলেছে। যদিও এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, সমীক্ষার রিপোর্ট এখনও ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়নি। প্রাথমিক সমীক্ষার ফলে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রথমদিকেই সম্পূর্ণ দেশীয় টিকা কোভ্যাক্সিন নেওয়ার বিষয়ে বেশ আপত্তি ছিল স্বাস্থ্যকর্মী থেকে আমজনতার। তবে পরে সেই আপত্তি অনেকটাই দূর হয়। তবে অনেকেই কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান নন। যদিও গবেষক, বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই টিকাই যথেষ্ট কার্যকর।

এস এস