ন্যাভিগেশন মেনু

কোভিড সনদ ছাড়া যাত্রী বহন: ফ্লাইট অপারেটরকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা


লিবিয়া থেকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার সনদ ছাড়া ১৫০ জন যাত্রী বহন করায় বোরাক এয়ারের ফ্লাইট অপারেটরকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল।

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি ফেইসবুক গ্রুপে দেওয়া বার্তায় জানানো হয়, মঙ্গলবার বিকালে লিবিয়া থেকে ১৫৩ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় নামে বোরাক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইট৷

ওই ফ্লাইট চালানোর ক্ষেত্রে শর্ত ছিলো, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী সব যাত্রীর সঙ্গে তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ থাকতে হবে। কিন্তু ঢাকায় নামার পর বিমানবন্দরের হেলথ ডেস্কের কর্মীরা মাত্র তিনজন যাত্রীর কাছে ‘কোভিডমুক্ত’ সনদ পান৷ বাকি ১৫০ জন যাত্রীর সঙ্গে পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো নথি ছিলো না৷ সে কারণে বাড়ি যেতে না দিয়ে ওই ১৫০ জন যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

যাত্রীদের এই ভোগান্তিতে ফেলার জন্য বোরাক এয়ারের বিশেষ ফ্লাইটটি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এদিকে লিবিয়ায় আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এই বিশেষ ফ্লাইটটি পরিচালিত হয়েছিলো।

ফ্লাইট অপারেটরের দাবি, যুদ্ধ বিধ্বস্ত লিবিয়ায় করোনাভাইরাসের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করার মতো সুবিধা নেই। তবে সেরকম ক্ষেত্রেও সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ছাড় রয়েছে৷ আরটি-পিসিআর পরীক্ষার সুযোগ না থাকলে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার রিপোর্টও বিমানবন্দর গ্রহণ করতে পারে।

তাছাড়া ওই ফ্লাইটেরই তিনজন যাত্রী যেখানে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে উপযুক্ত সনদ দেখিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, সেখানে বাকি ১৫০ জন যাত্রী কেন কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ আনতে পারলেন না? এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর ফ্লাইট অপারেটর দিতে পারেনি।

কোভিড-১৯ সনদ সংক্রান্ত নিয়ম না মানায় এ পর্যন্ত ১৫টি এয়ারলাইন্সকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে ৷

এস এ /এডিবি