নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রকাশ্যে গুলি করা ২৩ মামলার আলোচিত আসামি সহিদ উল্যাহ ওরফে কেচ্ছা রাসেলকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি দেশে তৈরি এলজি, একটি শর্টগান ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের লোহারপুল এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে হত্যা, মারামারি, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন অপরাধে ২৩টি মামলা রয়েছে। উপজেলার বসুরহাট বাজারে চলতি বছরের ১৩মে প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষকে গুলি করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আলোচনায় আসে কেচ্ছা রাসেল।
গ্রেপ্তার কেচ্ছা রাসেল ওই উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের করালিয়া গ্রামের শফি উল্যাহর ছেলে।
একই রাতে বাদল সমর্থিত মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহিন চৌধুরীকেও বিভিন্ন সময়ে দায়ের করা সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিতিশিলতার মূল হোতা এই রাসেল। তার বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নূর নবী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাংবাদিক সুভাস চন্দসহ অন্তত ২০ জনকে গুলি করে, পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে এখনও পুঙ্গ অবস্থায় রয়েছে। চলতি বছরের ১৩ মে মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের গুলি করতে গেলে সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে তার অস্ত্র হাতের ছবি।
রাসেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা করা হবে।
ডিএ/সিবি/এডিবি/
