ন্যাভিগেশন মেনু

ভারতে করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন চাইলো সেরাম


ভারতীয় সংস্থাগুলির মধ্যে প্রথম জরুরি ভিত্তিতে করোনাভাইরাস টিকার ব্যবহারের জন্য ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) কাছে আবেদন জানালো সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)।

সংবাদসংস্থা পিটিআইের বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, মহামারির ফলে উদ্ভূত অভাবনীয় পরিস্থিতি এবং বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বার্থে অক্সফোর্ডের সেই 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেন্ট’-এর অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। যে সম্ভাব্য টিকা যৌথভাবে তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা এবং সেটির উৎপাদন করেছে সেরাম।

ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সফোর্ডের 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেন্ট’-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে সেরাম। তাতে সহায়তা করছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)।

গত মাসে আইসিএমআর জানিয়েছিলো, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফলের উপর নির্ভর করে জরুরি ভিত্তিতে কোভিশিল্ড ব্যবহারের আবেদন জানানো হবে।

আইসিএমআরের হিসেব অনুযায়ি, অনুমোদন পাওয়ার আগেই করোনা টিকার চার কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলেছে সেরাম।

হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, আবেদনে মোট চারটি ক্নিনিকাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা উল্লেখ করেছে সেরাম। তার মধ্যে দুটি ব্রিটেনের এবং একটি করে পরীক্ষার ফল ভারত এবং ব্রাজিলের।

সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, উপসর্গযুক্ত এবং গুরুতর করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী হয়েছে কোভিশিল্ড।

সেরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্যান্য করোনাভাইরাস টিকার মতোই ফল মিলেছে। যেহেতু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, তাই কোভিশিল্ডের ফলে করোনাভাইরাসের মৃত্যু হার এবং অসুস্থতা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সেরামের আবেদনের কথা উল্লেখ করে একটি সূত্র জানিয়েছে, কোভিশিল্ড সুরক্ষিত এবং সহনশীল। যা কার্যকরভাবে করোনা রুখতে জনগণের মধ্যে ব্যবহার করা যাবে। একইসঙ্গে পরীক্ষার জন্য কৌশলির সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরিতে টিকার ১২টি ব্যাচ জমা দিয়েছে সেরাম। যে টিকা দেশের শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় বণ্টনের ক্ষেত্রেও উপযুক্ত। কারণ দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসেই সেই টিকা সংরক্ষণ করা যায়।

টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার সরকার এবং নিয়ন্ত্রক বিষয়ক অতিরিক্ত অধিকর্তা প্রকাশ কুমার সিংয়ের স্বাক্ষরিত সেই আবেদনে ‘আত্মনির্ভর ভারত’, ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এবং ‘বিশ্বের জন্য ভারতে তৈরি’-র মতো বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের কোটি কোটি মানুষের স্বার্থে টিকার ছাড়পত্র দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় স্বার্থে অবিলম্বে আমাদের দেশে সুরক্ষিত, কার্যকর এবং সাশ্রয়ী টিকার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে আমাদের আবেদনের ভিত্তিতে কোভিশিল্ডের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার জন্য আর্জি জানাচ্ছি।’

এডিবি/