ন্যাভিগেশন মেনু

কোয়ারেন্টিনে রাখাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৬


নারায়ণগঞ্জে অবস্থানরত ২৭ জন বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হতে পারে এমন শঙ্কায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে নিজ গ্রামে আসেন। এসময় এই ২৭ ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর হামলায় বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাপিটানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাইক্লোন শেল্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে একটি ভাড়া করা ট্রলারে করে বলদিয়া ইউনিয়নসহ পাশের কয়েকটি এলাকায় ২৭ জন লোক আসেন। এ খবরে নেছারাবাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদকে নির্দেশ দেন।

বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন আহমেদ ও নেছারাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক আল মামুনসহ একদল পুলিশ তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে গেলে, সরকারি এ সিদ্ধান্ত মানতে আপত্তি জানায় বলদিয়া ইউনিয়নের কাটাপিটানিয়া গ্রামের সদস্যরা। পরে এলাকার ইউপি সদস্য সুখলাল ঢালী ও রনজিৎ বেপারীর নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকশ’ মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে চেয়ারম্যান ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও লাঠিচার্জ করে।

এ সময় চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ, স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা, পুলিশের এসআই তাজেল, এসআই আল মামুন, ইউপি সদস্য মো. সুমন ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক মাসুম বিল্লাহ হামলার শিকার হন এবং আহত হন।

এদিকে আহতদের স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয় স্বরূপকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘সবার ভালোর জন্য তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কিছু না বুঝেই কাটাপিটানিয়া গ্রামের মানুষকে উত্তেজিত করে এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’

হামলার সময় উপস্থিত এসআই তাজেল বলেন, ‘কিছু মাতুব্বরের উসকানি মূলক কথাবার্তায় এলাকাবাসী আমাদের ওপর হামলা শুরু করে।’

 ওয়াই এ/এডিবি