ন্যাভিগেশন মেনু

কড়া নাড়ছে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী


দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে কালবৈশাখী। আঘাত হানতে যাচ্ছে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী।

ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সাথে রয়েছে কিছুটা দমকা হাওয়া।

চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই বৃষ্টিবলয় দেশজুড়ে বিস্তার লাভ করতে পারে। তার ভেতরেই যে কোনও সময় আঘাত হানতে পারে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বছরের প্রথম তিনমাসের (জানুয়ারি-মার্চ) আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তাতে মার্চ মাসেই তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে বলে আভাস দিয়েছে।

একই সঙ্গে একই সময়ে হবে প্রবল  বজ্রঝড়। চলতি ফেব্রুয়ারির বাকি ক’দিনে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে। এ সময়ে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুইদিন বজ্রঝড় হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা জানান, প্রকৃতিতে এখন চলছে কালবৈশাখীর প্রাক-প্রস্তুতি পর্ব। আবহাওয়ার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। শীতের বিদায়ের পর ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, সমগ্র পূর্ব এবং উত্তরপূর্ব ভারতে যে ঝড় বয়ে যায় কালবৈশাখী। বাংলা নব বর্ষের শুরুতে বৈশাখ মাসে এ ঝড় তুলনামূলকভাবে বেশি হয় বলেই এটি কালবৈশাখী নামে পরিচিতি লাভ করেছে।

কালবৈশাখী শুধুমাত্র বৈশাখ মাসেই (১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত) দেখা যাবে-এমনটি নয়। কালবৈশাখী ও সাধারণ ঝড়ের মধ্যে পার্থক্য বিচার করার কিছু মাপকাঠি রয়েছে।

বলা যায়, ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি এবং স্থায়ীত্ব অন্তত ১ মিনিট হলে সেটাই কালবৈশাখী ঝড়।

সিবি / এস এস