ন্যাভিগেশন মেনু

খালাতো ভাবীর সঙ্গে সম্পর্ক, আত্মঘাতী যুগল


মাসতুতো বউদির (খালাতো ভাইয়ের বউ) সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। তা মানতে চায়নি পরিবারের কেউ। শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে একসঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন দেওর এবং বউদি। 

ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার অদূরে উলুবেড়িয়ার উদয়নারায়ণপুরের কাঁকরাই এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম হেমন্ত দোয়াসি এবং মৃত যুবতীর নাম সুদীপ্তা হাজরা। দু’জনেরই বয়স ২১ বছর।

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রাই মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করেন। গোটা এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। 

এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় স্থানীয় থানার আধিকারিকরা। মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। এরপরই তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, দু’জনে সম্পর্কে দেওর–বউদি। এরপরই ধীরে ধীরে পুরো ব্যাপারটি সামনে আসে।

কাঁকরাইয়ের বাসিন্দা লালু হাজরার সঙ্গে পাঁচ বছর আগে সুদীপ্তার বিয়ে হয়। দু’জনের একটি তিন বছরের পুত্রসন্তানও রয়েছে। এর মধ্যেই অবশ্য স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরে। অন্যদিকে, হাওড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দেওর হেমন্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন সুদীপ্তা। 

\কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই অবিবাহিত হেমন্ত এবং বউদি সুদীপ্তার এই সম্পর্কের কথা বাড়িতে জানাজানি হয়ে যায়। পরিবারের সবাই এই সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করে। এরপর এই নিয়ে মাঝেমধ্যেই স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হত সুদীপ্তার।

গত বুধবার সন্ধ্যাবেলাতেও স্বামীর সঙ্গে এই বিষয়ে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। এরপরই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর এদিন সকালে এলাকার এক মাঠের মধ্যে একটি নির্মীয়মান ঘরের বাইরে থাকা মই থেকে তাদের ঝুলন্ত দেখতে পান স্থানীয়রা। 

গোটা ঘটনায় ওই এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও পুলিশ আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। তারপরই খোলসা হবে পুরো ব্যাপারটা।

ওআ/