বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভুয়া’ জন্মদিনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে এবার ঢাকায় চিনা দূতাবাস ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছে। ঢাকার চিনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে একে একটি ‘ভুল’ বলে উল্লেখ করেছে।
বাংলাদেশের জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এখন এ দিনটি বাংলাদেশের শোক দিবস। বিএনপি চেয়ারপারসন ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে এদিনেই তার জন্মদিন উল্লেখ করে ঘটা করে অনুষ্ঠান পালন শুরু করেন। দেশ জুড়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা ও ধিক্কার। এমনকি গাজী জহির নামে একজন সিনিয়র সাংবাদিক খালেদা জিয়ার জন্মদিন ভুয়া উল্লেখ করে আদালতে মামলাও ঠুকে দেন।
এখনও সেই মামলা চলমান। অথচ এরআগে খালেদা অন্যদিনে তার জন্মদিন পালন করতেন। প্রকাশ পেয়েছে খালেদা জিয়ার স্কুলের খাতায় এক জন্মদিন। জাতীয় পরিচয় পত্রে অন্যটি। আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে আরেকটি জন্মদিন পালন শুরু করেন।তীব্র সমালোচনার মুখে খালেদা জিয়া এবার ১৫ আগস্ট তার জন্মদিন পালন করেননি বা কেকও কাটা হয়নি।
অথচ চিনা দূতাবাস খালেদাকে জন্মদিনের উইশ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকার চিনা দূতাবাসের সামনে বিষয়টি উত্থাপন করলে তারা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে। চিনা দূতাবাস জানিয়েছে যে, তারা বিষয়টির সংবেদনশীলতা ধরতে না পেরে ‘ভুলটি’ করেছে এবং এ নিয়ে তাদের পক্ষে যথেষ্ট গবেষণা করা হয়নি।
চিনা দূতাবাস বিষয়টিতে সতর্ক থাকবে বলে জানিয়েছে। চিনা দূতাবাস আরও জানিয়েছে, তাদের দেশের পক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করা হয়।
বছরের পর বছর ধরে তারা এই চর্চা করে আসছে। জন্মদিনে বিএনপির চেয়ারপারসনের কাছে ‘নিয়মিত’ এ শুভেচ্ছা পাঠিয়ে এলেও তারা ‘ভুয়া জন্মদিনের’ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল না বলে জানায়। খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার জন্মদিন হিসেবে চারটি দিন পালনের তথ্য পাওয়া যায়।
এস এস