ন্যাভিগেশন মেনু

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিবেচনা করে মেয়াদবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী


বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে তার পরিবার যে আবেদন করেছে সেটা দেখে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী ভার্চুয়াল মন্ত্রিপরিষদ সভায় যোগ দেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ‘তিনি একটি দরখাস্ত পেয়েছেন। যেহেতু আগামী সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ ছয় মাস (খালেদার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ) শেষ হয়ে যাবে, তারা সেটির এক্সটেনশন চেয়েছেন। তবে ওই আবেদন এখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেনি। আবেদন পৌঁছালে বিবেচনা করা হবে।’

আনিসুল হক বলেন, ‘দরখাস্তে কী লিখেছেন সেটি আমি এখনও জানি না। উনাকে যখন ছয় মাস আগে একবার প্রধানমন্ত্রী মানবিক কারণে মুক্তি দিয়েছিলেন, ছয় মাসের জন্য। আমরা তার স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে দরখাস্তে কী লেখা আছে সেসব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া জামিনে নেই, কোনো আদালত তাকে জামিন দেয়নি। গেলো মার্চ মাসে তার পরিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিল যেন চিকিৎসার জন্য তাকে নির্বাহী আদেশে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক বিবেচনা করে আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার জন্য এবং গত ২৫ মার্চ সেই আদেশে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।’

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেওয়ার সময় আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ছয় মাসের ওই মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন। তার বিরুদ্ধে আরও ৩৪টি মামলা রয়েছে।

ওআ/