খুলনায় লঞ্চের লস্কর আইয়ুব আলীকে (৪০) ছুরিকাঘাতে খুন করায় দায়ে রায়হান সরদার নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, একইসঙ্গে আসামিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় শিশু আদালতে তার বিচার চলছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়হান যশোরের চাঁচড়া এলাকার মৃত হাকিম সরদারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সকাল পৌনে ৬টায় লঞ্চ কয়রা উপজেলার ভান্ডার পোল এলাকায় পৌঁছায়। যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নামতে শুরু করলে দু’জন যাত্রী তাদের টিকিট দেখাতে পারেনি। তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তর দেয় চালনা থেকে এসেছে। তখন লঞ্চের লস্কর আইয়ুব আলী বলেন, যে তারা খুলনা থেকে উঠেছে। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হান পকেট থেকে ছুরি বের করে আইয়ুবের তল পেটে ঢুকিয়ে দিলে তিনি লঞ্চের ওপর লুটিয়ে পড়েন।
পরে এক কেরানী এগিয়ে গেলে অপর আসামি তামিম হাসান আকাশ পকেট থেকে ছুরি বের করে তার ওপরও চড়াও হন। উপস্থিত জনতা তাদের দুজনকে গণধোলাই দিয়ে আমাদি পুলিশক্যাম্পে সোপর্দ করেন।
আহত আইয়ুব আলীকে প্রথমে জায়গীর মহল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরের দিন ওই ঘটনায় লঞ্চ মাস্টার মো. আলমগীর মোল্লা বাদী হয়ে কয়রা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর-৬।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই বছরের ৩০ নভেম্বর রায়হান সরদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ শুনানীর পর এ রায় ঘোষণা করা হয়।
ওয়াই এ/এডিবি