ন্যাভিগেশন মেনু

গঙ্গার নীচ দিয়ে হাওড়া–শিয়ালদহ-সল্টলেক মেট্রো কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে


কলকাতা থেকে গঙ্গা পেরিয়ে ওপারে হাওড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন  ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ১৬.‌৬ কিলোমিটারের এই রুটের রুটের সঙ্গে এসপ্লানেড ও শিয়ালদহ পথও জুড়ে গেল। অর্থাৎ আরও কিছু কাজ শেষ করে প্রকল্পটি চালু হলে এপথে যাত্রীদের দ্রুত যোগাযোগের এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে।

এইসঙ্গে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত সুরঙ্গ খোঁড়ার কাজ শেষ করল ‘‌টানেল বোরিং মেশিন’‌ ঊর্বী। ফলে, হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ১৬.‌৬ কিলোমিটারের এই রুটের শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পথও জুড়ে গেল। এবার দুই টানেল বোরিং মেশিন চান্ডি ও ঊর্বীকে মাটির নীচ থেকে তুলে আনা হবে।

তবে মাটির নীচে আটকে পড়া টিবিএম চান্ডি দিয়ে ভবিষ্যতে আর কাজ করা যাবে না। তাকে ডিসম্যান্টেল করে তুলে ফেলা হবে। এই গোটা প্রক্রিয়া শেষ হবে চলতি বছরে নভেম্বর মাসে। তারপর শুরু হবে বউবাজারে বাড়ি বানানোর কাজ।

অপর দিকে চলবে শিয়ালদহ থেকে মহাকরণ পর্যন্ত লাইন পাতা ও স্টেশন নির্মাণের কাজ। অপর অংশ মহাকরণ থেকে গঙ্গার নীচ দিয়ে হাওড়া স্টেশন হয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত স্টেশন নির্মাণ ও লাইন পাতার কাজও দ্রুত গতিতে চলছে৷ মেট্রো কর্তৃপক্ষ চাইছে ২০২৩ সালের মধ্যে হাওড়া ময়দান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত প্রকল্প চালু করে দিতে। যা সম্ভব হলে, দিনে কয়েক লাখ মানুষ উপকৃত হবেন।

উল্লেখ্য, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রা করিডোর দু’‌টি ভাগে বিভক্ত করে কাজ করা হয়েছে, ফেজ ১ ও ফেজ ২। ফেজ ১ পড়েছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত রাস্তা আর ফেজ ২ পড়ছে শিয়ালদহ থেকে শুরু হয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত। ফেজ ১ (‌সল্টলেক থেকে ফুলবাগান)’‌এর কাজ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।

এবার শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত সুরঙ্গের কাজ শেষ হওয়ায়, ফেজ ১ এর সঙ্গে জুড়ে গেল ফেজ ২। এই দু’‌টি ভাগের সংযোগের কাজই এদিন শেষ হল।

আবার এই সম্পুর্ণ ১৬.‌৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পথের ১০.‌৮ কিলোমিটার রাস্তা মাটির নীচে তৈরি হচ্ছে আর বাকি ৫.‌৮ কিলোমিটার মাটির উপর। ইতিমধ্যেই এই মাটির উপর ৫.‌৮ কিলোমিটার অর্থাৎ (‌ সল্টলেক থেকে ফুলবাগান)‌রুটে মেট্রো চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে।

আর যেটা ফেজ ২ এর ১০.‌৮ কিলোমিটার পথ, অর্থাৎ হাওড়া ময়দানের মাটির নীচ থেকে গঙ্গার তল পেরিয়ে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত সুরঙ্গ খোঁড়ার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে।

২০১০ সালে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রার সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছিল। টানেল বোরিং মেশিনকে ফুলবাগানে নিয়ে আসা হয়েছিল। যদিও কথা ছিল ২০১৩ সালের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্ত নানা প্রতিকুলতার কারণে সেই কাজ পিছতে থাকে। কখনও পড়তে হয় জমি জটে, আবার কখনও রুট বদল, তো কখনও বাড়ি ধ্বসে পড়া তো আবার করোনার আক্রমণ। অবশেষে সমস্ত বাধা পেরিয়ে এই সম্পূর্ণ রুটের সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শেষ করল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

এস এস