ন্যাভিগেশন মেনু

গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু ৭ সেপ্টেম্বর


করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

বুধবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর কেন্দ্রীয় ঔষধাগার মিলনায়তনে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপহার হিসেবে পাওয়া ভেন্টিলেটর বিতরণ অনুষ্ঠানে ডিজি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। এই কয়দিনে আরও টিকা আসবে। দ্বিতীয় ডোজ শেষ করতে কোনও সমস্যা হবে না।

খুরশীদ আলম বলেন, সারাদেশে গণটিকা চলাকালে যে যেই কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেখানেই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। কিছু কিছু দেশ আমাদের কাছে মডার্না ও ফাইজারের টিকা চাচ্ছে, এটা এখন দেওয়া সম্ভব নয়। শিগগিরই দেশে ৬০ লাখ ফাইজার আসবে।

এ সময় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলোতে ব্যবহৃত মেশিন যন্ত্রপাতিগুলো যত্ন করে ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, আমি আশা করবো যেই জিনিসগুলো হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করবেন। যত্ন করে ব্যবহার করবেন এবং এটা রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো করবেন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা শুনেছেন যে ৫৬১টি ভ্যান্টিলেটর পেয়েছি। এগুলো আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে দেবো। এই যন্ত্রগুলো আমরা ৩০০টি হাসপাতালে দেওয়ার কথা ভাবছি।

এ সময় আরটি পিসিআর মেশিন কেনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, 'কিছু র‍্যাপিড আরটি পিসিআর মেশিন কেনার চেষ্টা চলছে। নতুন করে আরও ৩০টি আরটি পিসিআর মেশিন কেনা হচ্ছে। উপজেলাতে জিন এক্সপার্ট মেশিন সেনসেটিভিটি ১০০ শতাংশ। এই মেশিনগুলাকে চালু করার জন্য একটা স্পেশাল ইকুইপমেন্ট লাগে, যেটা আমরা ইতোমধ্যেই সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করছি। সেটা যদি হয় তাহলে পরে এক্টিভেশন কোন জায়গা দিয়েছে, সেগুলো কাজ করতে পারবে আশা করি।'

তিনি আরও বলেন, 'আপনারা জানেন যে প্রত্যেকটা মেশিন নষ্ট হতে পারে। যেকোনও মেশিন, এয়ার কন্ডিশনও হতে পারে। এই জিনিসগুলো আমাদের মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা যথাযথ ব্যবহারের চেষ্টা করছি।'

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, সিএমএসডি পরিচালক পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামানসহ আরও অনেকে।

এস এ/এডিবি/