গাজীপুরে শিমুলতলী এলাকায় এক কলেজছাত্রীকে ডেকে নিয়ে তিনবন্ধু মিলে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শিমুলতলী স্কুলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজারের আবুল কালামের ছেলে মাসুদ রানা (২৫) ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার গলগণ্ডা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মো. আনন্দ (২২)। তারা দুজনই গাজীপুর নগরীর চতর এলাকায় থাকেন।তবে প্রধান আসামি নাঈম এখনো পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামী নাঈম ও ওই কলেজছাত্রী (১৮) গাজীপুর শহরে সেন্ট্রাল কলেজে লেখাপড়া করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাঈম ওই কলেজছাত্রীকে জরুরি কাজের কথা বলে শিমুলতলীতে যেতে বলে। পরে নাঈম ভিকটিমকে নিয়ে একটি অটোরিকশা করে শিমুলতলী এলাকায় যান। এসময় আনন্দ ভিকটিমের মোবাইলে ফোন দেয়। তখন ভিকটিম ফোনটি নাঈমকে দিলে নাইম ফোনে কথা বলে। পরে নাঈম ভয়ের কিছু নেই আশ্বস্ত করে ভিকটিমকে সেখান থেকে ওই এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান। এ সময় ঘরে ঢুকতে না চাইলে নাইম তাকে জোরপূর্বক ঘরের ভেতর নিয়ে যান। ভিকটিম ঘরে গিয়ে আনন্দ ও রানাকে দেখতে পান। এ সময় জোরপূর্বক এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই তিনজন ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরে নাইম ভিকটিমকে অটোস্ট্যান্ডে নিয়ে আটোযোগে বাড়ি চলে যেতে বলেন।
গাজীপুর নগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়া বলেন, রাতেই এই ঘটনায় কলেজছাত্রী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আনন্দ ও মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রধান আসামি নাঈম পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
এডিবি/
