চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মুক্তা মালা (৩২) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগে স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২ মে) রাতে উপজেলার এরশাদপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন - একই গ্রামের সালাউদ্দীন ওরফে পান্টু হুজুর, গৃহবধূর স্বামী জহুরুল ইসলাম, শাশুড়ি জহুরা বেগম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বাথানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। লোকমুখে আলমডাঙ্গার এরশাদপুর গ্রামের পান্টু হুজুরের কথা শুনে মেয়ে মুক্তা মালাকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে সেখানে যান। একপর্যায়ে পান্টু হুজুরের খাদেম এরশাদপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের সাথে মুক্তা মালার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ৬-৭ মাস আগে তারা বিয়েও করেন। মুক্তা মালা স্বামীর সাথে পান্টু হুজুরের আস্তানায় থাকতেন। বিয়ের পর থেকে জহুরুল ইসলামের মা জহুরা বেগম পুত্রবধূ মুক্তা মালাকে মেনে নিতে পারেননি। তিনি মুক্তা মালাকে নানাভাবে অত্যাচার করতেন। তার ব্যাপারে ছেলে জহুরুল ও পান্টু হুজুরকে সব সময় ফুঁসলাতেন।
গতকাল রবিবার সকালে মুক্তা মালাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে পান্টু হুজুরের ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে তারা। কয়েক ঘণ্টাপর মরদেহ দরবারের নিজস্ব ভ্যানে করে মুক্তা মালার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হুমকিও দেওয়া হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর বলেন, এ ঘটনায় রাতে নিহত গৃহবধূ মুক্তা মালার বাবা মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিহতের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওয়াই এ/এডিবি/
