এবার গোমতীনদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হলো। কেননা নদীটিতে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কাঙ্খিত বাণিজ্য সফলতা মিলবে না সংশ্লিষ্টদের ধারণা।আর তাই এ উদ্যোগ। গোমতী খনন ছাড়া এ বাণিজ্য সফলতার মুখ দেখবে না।
কেননা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে সবে নৌ-বাণিজ্য শুরু হয়েছে। কিন্তু গোমতীর নাব্য সঙ্কট থাকায় এর খনন ছাড়া বিকল্প নেই।
নদীটি খননের জন্য ৭৯৭ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারত ২০ শতাংশ এবং বাকি ৮০ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করবে বাংলাদেশ।
কুমিল্লা জেলার গোমতী নদী দিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক নৌ চলাচল শুরু করা হয়। এদিন কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া বন্দরে সিমেন্টবাহী একটি ট্রলার যায়।
নদীর নাব্য সংকট ও কয়েকটি কম উচ্চতার সেতুর কারণে ট্রলারটি সোনামুড়া বন্দরে পৌঁছাতে সমস্যায় পড়ে।
নৌপথটি খনন করা গেলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭টি রাজ্যে সিমেন্ট ও ভোজ্যতেলসহ পণ্য পরিবহন সহজ হবে। জলপথে খরচও কম পড়বে।
এদিকে আবার বাংলাদেশের অধিকাংশ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি মেঘনা নদীর তীরে। দাউদকান্দিতে মেঘনার ব্রিজ ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকায় নারায়ণগঞ্জ বা পার্শ্ববর্তী মোক্তারপুর থেকে ট্রাকে করে ২০ টন সিমেন্ট নিয়ে নরসিংদী, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা হয়ে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বিবির বাজার স্থলবন্দরে পৌঁছাতে হয়।
এরফলে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। গোমতী দিয়ে নৌপথটি চালু হলে নারায়ণগঞ্জ থেকে সোনামুড়ার দূরত্ব হবে মাত্র ১২৫ কিলোমিটার।
ভারতের অন্য অঞ্চল থেকে ভারতের এ সাত রাজ্যে পণ্য পরিবহনে দীর্ঘ সময় ও অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জল, স্থল ও রেলপথ ব্যবহার করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহন করা হলে ভারতের সময় ও ব্যয় দু’টোই সাশ্রয় হয়।
একথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে নৌপ্রোটোকল ও কানেক্টিভিটির আওতায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে জলপথে পণ্যপরিবহনের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত।
এস এস