ন্যাভিগেশন মেনু

গ্যাস্ট্রিক হটাতে যেসব খাদ্য প্রয়োজন


আমরা প্রায় লোকের সঙ্গে আলাপ প্রসঙ্গে জানতে পারি কেউ রক্তচাপ, কেউ বা ডায়াবেটিস আবার কেউ কেউ গ্যাসে বা অম্বলে ভুগছেন।

অর্থাৎ এ রোগ ঘরে ঘরে একেবারে কমন। গ্যাসের কারণে অধিকাংশই দুধসহ চা বা কফি পানে অনাগ্রহ দেখান। শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। 

সারাদিন রোজা শেষে ইফতারির প্রধান অনুসঙ্গ থাকে পেয়াজু-বেগুনির মতো ভাজাভুজি। রোজা রাখার পর অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। 

বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে খাবার হিসেব করে খেতে হবে। কারণ গ্যাস্ট্রিকের রোগীরা নিজের যা খুশি তাই খেতে পারবেন না।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে অনেক খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক ডেকে আনতে পারে অনেক ধরনের অসুখ। তবে কিছু খাবার রয়েছে, যা আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করবে।

তাই এসব খাবারের দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। যা ইফতারে খেলে  গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে।

আনারস:

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রোধে ইফতারে যোগ রাখতে পারেন আনারসের শরবত। আনারস খেলে অ্যাসিডিটি কমে যায়।

আদা:

ইফতারের জন্য ছোলা ভুনা একটি গুরুত্বপূর্ণ আইটেম। এই ছোলা ভুনা করার সময় সামান্য আদা কুচি করে দিতে পারেন।

এক কাপ আদা চা:

ইফতার করার পর এক কাপ আদা চা খেতে পারেন। আদা চা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে এক কাপ আদা চা পান করুন, কমে যাবে অ্যাসিডিটি।

দারুচিনি:

দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান, যা অ্যাসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে। তাই কফিতে সামান্য দারুচিনি গুঁড়া ছিটিয়ে পান করুন। গ্যাস্ট্রিকের অস্বস্তি দূর হবে।

পানি:

প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। পানি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দ্রুত খাবার হজমে সাহায্য করে। এতে কমে যায় অ্যাসিডিটি।

বাদাম:

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় খেতে পারেন বাদাম। প্রতিদিন কয়েকটি বাদাম খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না।

লেবু:

সেহরিতে ভাত খাওয়ার পর হালকা গরম পানিতে একটি লেবু চিপে পান করুন। দূর হবে অ্যাসিডিটি। 

এস এস/