ন্যাভিগেশন মেনু

ঘাটাইলে চোর অপবাদে আদিবাসী নারীকে বেঁধে নির্যাতন


টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলে চোর সন্দেহে সন্ধ্যা রানী (৩৫) নামে এক আদিবাসী নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় সন্ধ্যার ৬ মাসের শিশু মায়ের বুকের দুধ খেতে চাইলেও তা খেতে দেয়নি নির্যাতনকারীরা।

গত ৯ জানুয়ারি উপজেলার সাগরদিঘী এলাকার মালিরচালায় এই ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা সন্ধ্যা রানী একই এলাকার নারায়ন বর্মণের স্ত্রী।

এ ব্যাপারে রবিবার (১০ জানুয়ারি) রাতে নির্যাতিতা নিজে বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় মামলা করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নির্যাতিতা সন্ধ্যা রানীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তার ৮ বছর বয়সী ছেলে পলাশ একই গ্রামের মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার পরিবারের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে প্রায়ই খেলাধুলা করতো। ঘটনার ১৫ দিন আগে পলাশ মনিরুল ভূঁইয়ার বাড়ি থেকে ঘুড়ি বানানোর জন্য পত্রিকা নিয়ে আসে এবং তার সন্তানদের সঙ্গে ঘুড়ি উড়ায়। হঠাৎ মনিরুলের বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকাসহ মূল্যবান কাগজপত্র চুরি যায়। এ ঘটনার জের ধরে ৩ জানুয়ারি শিশু পলাশকে তারা বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং মালামাল চুরি করে তার মায়ের কাছে জমা দেওয়ার স্বীকারোক্তি আদায় করে। 

মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি মনিরুলের দুই বোন মোছা. খুকি (৩৭) ও সুমি আক্তার (৩২) সন্ধ্যা রানীর বাড়ি গিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা সন্ধ্যা রানীকে বাড়ির পাশের করিম ভূঁইয়ার আকাশমনি গাছের বাগানে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। এ সময় মনিরুল ভূঁইয়া তার দুই ছেলে মোস্তফা ও দুই বোন মিলে তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মহানন্দ বর্মন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা সন্ধ্যা রানীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এ সময় তার ৬ মাসের শিশু বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ খেতে চাইলেও খেতে দেয়নি। পরে আমি দুই বন্ধুর সহযোগীতায় সন্ধ্যা রানীকে উদ্ধার করি। বর্তমানে সে আমার বাড়িতে আছে।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানও চলছে।

এডিবি/