ন্যাভিগেশন মেনু

ঘূর্ণিঝড়ের দিনই পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণ, দুর্যোগ বাড়ার শঙ্কা


বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের থেকে পশ্চিমবঙ্গে যশ বেশি আঘাত হানবে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদই বলা হচ্ছে। আমফানের চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ বা ইয়াস। আশঙ্কা প্রকাশ করেই রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ক্রমেই শক্তি বৃদ্ধি করে বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। 

আর এরই মধ্যে অপেক্ষারত দুই দোসর পূর্ণিমা ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। এই দুই কারণে ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জেরে উপকূল এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় যশ  যখন পশ্চিমবঙ্গে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে, সেই সময়ের যদি সামান্য হেরফের হয়, তাহলেই চিন্তা বাড়বে। কারণ সকাল অথবা একটু রাতের দিকে আছড়ে যদি সুপার সাইক্লোনটি স্থলভাগ স্পর্শ করে তাহলে তার প্রভাব অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হবে বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস।

ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগের দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে এর গতিবেগ আরও বাড়বে। ঘণ্টায় ১১৮-১৮৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ার কথা যশের। তাই যে আনুমানিক সময়ে তা স্থলভাগে পড়ার কথা তার আগেই ধাক্কা মারতে পারে। 

আর সেক্ষেত্রেই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে পারে উপকূলের এলাকাগুলি। কারণ তাহলে এই ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হবে বলেই আশঙ্কা করছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। 

৭২ ঘণ্টা দুর্যোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সব মিলিয়ে তাই উদ্বেগের প্রহর গুনছেন বঙ্গবাসী।

এস এস