ন্যাভিগেশন মেনু

চকরিয়ায় 'গুলিযুদ্ধে' তিন মাদক কারবারি নিকেশ


কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশের সঙ্গে 'গুলিযুদ্ধে' তিন অজ্ঞাত মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে চকরিয়া থানার ওসিসহ চার পুলিশ সদস্য। 

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪৪ হাজার পিস ইয়াবা এবং দেশে তৈরি দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭ রাউন্ড গুলি ও ১৫ রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩‌১ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়াস্থ পাহাড়ি এলাকা আমতলী গর্জন বাগানের ভেতর থেমে থেমে প্রায় ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে এই গুলিযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

এ সময় মাদক কারবারি ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদলের মধ্যে অন্তত ৩০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। আর আত্মরক্ষার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে ছোড়া হয় প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি। 

পুলিশ জানায়, ইয়াবার বড় চালান হাতবদলের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে মাদক কারবারি-সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এ সময় আহত হন চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম, কনষ্টেবল সাজ্জাদ হোসেন ও মো. সবুজ। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিযুদ্ধে নিহত তিন ইয়াবা কারবারি ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর তাৎক্ষণিক পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। 

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা এলাকা থেকে জাহেদা বেগম ও মোজাফ্ফর আহমদ নামের দুজন মাদক কারবারিকে ছয় হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, আজ রাতেই বানিয়ারছড়া পাহাড়ি এলাকায় ইয়াবার একটি বড় চালান হাতবদল হবে। সেই চালান এবং মাদক ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশও অভিযান শুরু করে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পুলিশের সাথে গুলিযুদ্ধের সময় অজ্ঞাতনামা তিনজন মাদক কারবারি ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় হত্যা, অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে।


এডিবি/